আজ খবর ডেস্ক- মুকুল রায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ফের একপ্রস্থ জল্পনা শুরু হল। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায়। এদিকে পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর বিধায়ক পদ থাকবে নাকি সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল এদিন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে মুকুলের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
এই মর্মে মুকুলের পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়া অবৈধ, সেই বিষয়ে সরব হয়ে আদালতে যায় বিজেপি। আদালতে মামলা করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। আইন অনুযায়ী বিধানসভার স্পিকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। তাই বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দল। এই প্রসঙ্গে, গত ১৩ নভেম্বর বিধানসভার স্পিকার বলেন, ‘বিষয়টি এখন আদালতের আওতায়, তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালতের থেকে কোনও সিদ্ধান্ত আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই বিষয়ে শুনানি স্থগিত রাখা হবে বিধানসভায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসে পৌঁছলে সম্ভাব্য ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ বিধানসভায় এই বিষয়ে শুনানি হতে পারে।’
মামলা করার জন্য আগেও সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে সেই জল গড়াল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভার স্পিকার বলেন, কোনও কাজেই অনীহার প্রসঙ্গ নেই, শীর্ষ আদালত যা রায় দেবে, সেই মত নিয়ম মেনেই কাজ করবেন তিনি। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জানুয়ারি। তাই আপাতত মুকুলের পদ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।