আজ খবর ডেস্ক- ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএমকে পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হার্মাদ মুক্তি দিবসে তৃণমূলকে সমূলে উৎখাত করার জন্য খেজুরি থেকে এমনই বার্তা দিলেন তিনি।

নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গলায় স্পষ্ট বক্তব্য, সকলে খারাপ নয়, তাই তাদেরকে পাশে নিয়ে তৃণমূলকে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করতে হবে বঙ্গ থেকে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ২০২৩ সাল এখনও অনেক বাকি, তাই প্রস্তুতি নিতে হবে, এরপর অন্য বিষয়ে ভাববেন তিনি। এদিন খেজুরির কুলঠা থেকে বাঁশগোড়া পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একটি পথসভা আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের পথসভার উপরে হামলা চালায় তৃণমূল বাহিনী। এই কারণে খেজুরি-হেঁড়িয়া সড়ক অবরোধ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে ঘিরেও একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি, তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পাল্টা বলেন, তৃণমূল ও বিজেপির নিজস্ব বোঝাপড়া আছে। তিনি বলেন, উভয় দল একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কৌশলী খেলা খেলছে। “এখন তো উঠে এসেছে যে, নন্দীগ্রামে অশান্তি ছড়িয়েছিল অধিকারী পরিবার ও তৃণমূল।  আসলে তাঁরা সবাই মিলে নাটক করেছেন।”

সিপিএমকে পাশে পাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না বাম, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বামের বক্তব্য ধরেই। যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ তৃণমূলের তরফ থেকেও একটি পাল্টা সভার আয়োজন করা হয়েছে খেজুরিতে। পদযাত্রা ও সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি। ২০১১ সাল থেকে হার্মাদ মুক্তি দিবস পালন করা হচ্ছে এই এলাকায়। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে তৃণমূলকে ‘জেহাদি’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *