আজ খবর ডেস্ক : ত্রিপুরার পাশাপাশি এই মুহূর্তে তৃণমূলের পাখির চোখ সৈকত রাজ্যে। সম্প্রতি গোয়া সফর সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পর এবার গোয়ায় পৌঁছবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীপাবলির পর সম্ভবত ১০,১১ ও ১২ ই নভেম্বর তিন দিনের সফরে গোয়া যাবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে এই সফরে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দেবেন তিনি।

২০২২ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে এমনটাই ঠিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই তার আগে শুধু তৃণমূল নেত্রীই নয়, ইতিমধ্যেই গোয়ায় যাতায়াত শুরু করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বেরা।গোয়া যে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য তা আগেই ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। গত ২৫ অক্টোবর দিনহাটায় উদয়ন গুহর প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল শুধু বাংলার মাটিতেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা ত্রিপুরায় গিয়েছি। আমরা গোয়ায় ঢুকেছি। আমরা আরও ৫-৭টা রাজ্যে আগামী এক মাসের মধ্যে যাব।’সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় নির্বাচন। ৪০টি বিধানসভা আসন আছে। শূন্য থেকে তৃণমূল শুরু করেছে। লিখে রাখুন ৩ মাসের মধ্যে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তারপর ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম ও উত্তরপ্রদেশ। কারণ বাংলা পথ দেখিয়েছে। আজ ভারতকে পথ দেখাচ্ছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী একটাই আওয়াজ দেশ কা নেত্রী ক্যাইসি হো, মমতাদিদি জ্যাইসি হো।’

মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর শেষ হতে, সৈকত রাজ্যে বেড়েছে বিরোধী নেতাদের আনাগোনা। মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফরের শেষ দিনে সেখানে পৌঁছেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল একদিনের সফরে গোয়া যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি জানান, “আমাদের জীবনে ধর্মীয় স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। ভগবানের আশীর্বাদেই আমরা জীবনে চলার পথে নতুন পথের সন্ধান পাই এবং কাজ করে যাওয়ার শক্তি মেলে। কাল আমি গোয়ার ভাই বোনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসছি।”

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে সরগরম দেশীয় রাজনীতি। গোয়া সফরের দরুন গোয়ার প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যার পর তিনি টুইটারে জানান, ‘বিজেপিকে টক্কর দিতে গোয়ায় একটা শক্তিশালী টিম তৈরি করতে দু বছর ধরে অপেক্ষা করছি। দুর্নীতিতে ভরা বিজেপি সরকারকে শেষ করতে বিরোধী ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২-এর কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।’ এই সাক্ষাৎকে রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ বিজয় সরদেশাইয়ের দল, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে যদি তৃণমূল হাত মিলিয়ে নেয় তবে ভোটের অঙ্কে তাদের অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যদিও জোট নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি দুই পক্ষ ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *