আজ খবর ডেস্ক- কেউ লোকসভার সাংসদ, কেউ আবার আছেন রাজ্যসভায়। “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতির কোপে এবার রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। এঁদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। ২০২০ সাল থেকে বকেয়া পুরভোট। ফলে এই নেতারা এখনও কোঅর্ডিনেটর পদে থেকে গিয়েছেন। কিন্তু এবার বিধি বাম! তৃণমূল সূত্রে খবর, সাংসদ বা বিধায়ক হয়ে যাওয়া অনেক নেতাই এবার পুরভোটে টিকিট পাচ্ছেন না।
দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় অথবা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন পুরসভার নির্বাচনে টিকিট নাও পেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, তাঁরা দুজনেই সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি পুরসভার কমিটিতে রয়েছেন। মালা রায় বর্তমানে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর, অন্যদিকে শান্তনু ৩ নম্বর ওয়ার্ডের। মালা ২০১৫ সাল থেকে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সনের দায়িত্বেও রয়েছেন। কিন্তু নতুন নীতির ফলে এ বার দু’জনকেই খোয়াতে হতে পারে ওয়ার্ডের দায়িত্ব। কাশিপুর-বেলগাছিয়ার নতুন বিধায়ক অতীন ঘোষ বা রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে জিতে আসা দেবাশিস কুমারের ক্ষেত্রেও কি এমন হতে পারে? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
২০০০ সালে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আমলে মেয়র পারিষদ হয়েছিলেন মালা রায়। শুরুটা কংগ্রেস থেকে হলেও পরে নিজের স্বামী নির্বেদ রায় হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পুরসভার চেয়ারপারসন হন মালা। ২০১৯ সালে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী লোকসভা ভোটে না দাঁড়ানোয়, মালাকে দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়।
অন্যদিকে আরেক সাংসদকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ২০১৮ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয় শান্তনুকে। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর। ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে প্রথমবার কাউন্সিলর হন তিনি। তবে ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হলে পাশের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে এনে তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে জিতে নিজের কাউন্সিলর পদ ধরে রেখেছিলেন শান্তনু। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের কাছে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে শুভাশিস চক্রবর্তী, আবীর বিশ্বাস ও নাদিমুল হকের সঙ্গে রাজ্যসভায় মমতার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পান শান্তনু। তাই মালার মতো তাঁকেও ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে একুশের পুরভোটে প্রার্থী না-ও করা হতে পারে।
এভাবেই খোঁজ চালান হবে কোন প্রার্থী ইতিমধ্যেই অন্য কোন পদে নিযুক্ত আছেন। তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রেও একই রকম নিয়ম বলবৎ করা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।