আজ খবর ডেস্ক : রাজ্যসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ! রাজ্যসভায় গত বাদল অধিবেশনে দুর্বব্যবহারের জেরে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল ১২ সাংসদকে। এই তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসে ৬ জন, শিবসেনার ২ জন, সিপিআইয়ের একজন এবং সিপিএমের একজন সাংসদ।বাদল অধিবেশের ওই ঘটনার সময় সংসদে অর্পিতা ঘোষও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি বর্তমানে আর সাংসদ না থাকায় শাস্তির খাঁড়া নেমে এল শুধু দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর উপরেই।
তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে aajkhobor.com। তিনি aajkhobor.com-কে সাসপেনশনের বিষয় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, “এটা সম্পূর্ণভাবে আইন বিরোধী। মোদীজি ও এই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, সংবিধান বলে কিছু নেই। সেই জন্যই আমি মনে করি, যখন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে কৃষকদের পক্ষে, কিষান বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, যখন আমি সংবিধানের পক্ষে ওদের অগণতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, তখন সাসপেন্ডেড হয়ে আমি গর্বিত।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে পেগাসাস, কৃষি বিল সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। অধিবশনের শেষ দিন অর্থাৎ ১১ই অগাস্ট রীতিমত তোলপাড় হয় রাজ্যসভা। সরকারের অভিযোগ, সেই সময় সংসদের কয়েকজন উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীদের গায়ে হাত দেয়। ভেঙে ফেলা হয় সংসদের কাচের দরজাও। জানা গিয়েছে, অনেকে নাকি টেবিলের উপরেও উঠে পড়েন, কাগজপত্র ছিঁড়ে লন্ডভন্ড করে দেন। তাই তখন সময়ের আগেই বাধ্য হয়ে শেষ করে দিতে হয়েছিল অধিবেশন। গোটা ঘটনায় সংসদের গরিমা নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেছে সরকার। আর তার জেরেই এই শাস্তি।
এই তালিকায় তৃণমূলের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী ছাড়াও, সাসপেন্ড হয়েছেন এলামারাম করিম(সিপিএম), ফুলো দেবী নেতাম(কংগ্রেস), ছায়া ভার্মা(কংগ্রেস), রিপুন বরা(কংগ্রেস), বিনয় বিশ্বম(সিপিআই), রাজামনি প্যাটেল(কংগ্রেস), সৈয়দ নাসির হুসেন(কংগ্রেস), প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী(শিবসেনা), অনিল দেশাই(শিবসেনা), অখিলেশ প্রসাদ সিং(কংগ্রেস)।