আজ খবর ডেস্ক : ডিম্বাশয়ের সিস্ট বিষয়টি এখন খুবই পরিচিত একটি বিষয়। তবে সম্প্রতি ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর যে সিস্ট বের করা হয়েছে, তা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মধ্যে এত বড় সিস্ট এর আগে দেখেননি তাঁরা। যদিও সফল অস্ত্রোপচারের পর যথেষ্ট খুশি রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা।
অস্ত্রোপচারে কি পাওয়া গিয়েছিল ?
বছর ৩৬ এর ওই মহিলার বেশ কিছুদিন ধরেই পেট ফুলে যাচ্ছিল। প্রথমে বাড়ির লোক থাইরয়েডে ওজন বাড়ছে ভেবে টেস্ট করান। কিন্তু রিপোর্টে অবশ্য তেমন কিছু মেলেনি।এরপর মহিলাকে সন্তোষপুর এলাকায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান মহিলার স্বামী। সেই ডাক্তারের পরামর্শেই আমরি হাসপাতালে ড: সুস্মিতা মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপর আলট্রাসনোগ্রাফি করে সিস্টের অবস্থান নির্ণয় করার পরে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। তারপর গত ২ তারিখ মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। তাতেই বেরিয়ে আসে ১৩ কেজির টিউমার !
চিকিৎসক জানিয়েছেন, মহিলার পেটে সিস্ট রয়েছে তা আগেই জানা গিয়েছিল। তবে এত বিশাল টিউমার তারা আশা করতে পারেননি। এমনকি চিকিৎসকের দাবি এর আগে এত বড় টিউমার তিনিও দেখেননি।ড: মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, শুধু আকারে নয় চরিত্রগত দিক থেকে অন্যান্য স্থানের তুলনায় এটি ছিল একটু আলাদা ধরনের। সম্পূর্ণ উপসর্গহীন। কারণ এত বড় একটি টিউমার মহিলার পেটে থাকা সত্বেও কোনরকম ব্যথা নেই, এমনকি কম অস্বস্তি অনুভব করতে হয়েছে তাঁকে। অনেক সময় ডিম্বাশয়ে সিস্ট জন্মালে ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় মেয়েদের, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন লক্ষ্য দেখা যায়নি। শুধুমাত্র পেট অনেকটা ফুলে গিয়েছিল।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, সিস্টটি মহিলার ডায়াফ্রামের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে থাকলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারত। তবে আপাতত সফল অস্ত্রপ্রচারের পর সম্পূর্ণ সুস্থ ঐ মহিলা। চিকিৎসকের মতে আগামী এক মাসের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরতে পারবেন মহিলা। সেইসঙ্গে অস্ত্রোপ্রচারের ফলে তার গর্ভধারণেও কোন রকম সমস্যা হবে না।আপাতত এত বড় একটি বিপদ মুক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি মহিলার পরিবার এবং তাঁর স্বামী।