আজ খবর ডেস্ক- বাংলায় গত কয়েকদিনে প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে সংক্রমণ৷ আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা৷ গত কাল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০ জন। অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে করোনার “তৃতীয় ঢেউ”৷
পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ছুঁতে পারে।
দেশের ৪ মেট্রো শহরের মধ্যে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লিতে বাড়ছে করোনা দাপট। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে এই ৩ শহরে। দিল্লি ও মুম্বাইতে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ বেড়েছে কোভিড। ওমিক্রন দাপট বাড়তেই দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ শহরে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার নমুনায় ৫৪ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়ছে ওমিক্রন। 

রাজ্যে করোনার “তৃতীয় ঢেউ”য়ের আশঙ্কা ক্রমেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। এরই মাঝে আরও ৫ ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল পশ্চিমবঙ্গে। জানা গিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমিতদের মধ্যে থেকে ৩ জন ফিরেছেন ব্রিটেন থেকে। ব্রিটেন ফেরত সংক্রমিতদের একজনের বয়স ৪৪ বছর, একজন ২৪ বছর বয়সি, অপরজন ৫ বছরের শিশু। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে এই ওমিক্রন আক্রান্তরা। তবে কারোর শরীরেই কোনও কোভিড উপসর্গ নেই। তাদের শারীরিক অবস্থি স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে এই পাঁচজন আক্রান্তের খোঁজ মেলায় রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে।

প্রায় ৭ মাস পর কেন দেশ জুড়ে এমন বাড়বাড়ন্ত? মুম্বাইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, এক সপ্তাহে প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা। গত শুক্রবার যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৮৩, এ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৭১। যদিও মৃত্যুহার অনেকটাই কম দেশের চার মেট্রো সিটিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সব শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্ণাটক, গুজরাটের পরিস্থিতি ক্রমশই চিন্তা বাড়াচ্ছে।

বৃবস্পতিবার বিদেশ থেকে কলকাতায় আসা ৬ জন যাত্রীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এজের মধ্যে পাঁচজনের শরীরেই ওমিক্রন ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপরই আক্রান্তদের বাইপাসের ধারে, মুকুন্দপুরে, ঢাকুরিয়াতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কোভিড বিধি মেমে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

এদিকে বড়দিন পার হতেই রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। আর তাই পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না চলে যায় তাই আগেভাগেই সতর্ক হল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৩রা জানুয়ারি থেকে ব্রিটেন ফেরত কোনও বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিদেশ থেকে কেউ কলকাতা বিমানবন্দরে এলেই তাঁর আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *