আজ খবর ডেস্ক : বেআইনি পথে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির অভিযোগে NEET exam solver gang-এর সঙ্গে বাবা ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করল বারাণসী পুলিশ। পুলিশি তরফ থেকে জানান হয়েছে, মেয়েকে একটি প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য এই কুখ্যাত গ্যাং-কে ৫০ লাখ টাকা দেয় যুবতীর বাবা।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ত্রিপুরার ধুলাই জেলার বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস সমস্ত বিষয়টি স্বীকার করে নেন।

তিনি জানা, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য ও মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ নামের ওই গ্যাং-এর ২ সদস্যের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। মেয়েকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য তাঁর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে এই বিশাল অংকের অর্থ তাঁদের দিয়েও দেন তিনি।

কীভাবে কাজ এই গ্যাংয়ের কাজ চলে? কীভাবেই বা তারা মেডিক্যাল কলেজের মত প্রতিষ্ঠানে কাউকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিন যে-ছাত্র বা ছাত্রী গ্যাং-কে টাকা দিয়েছে, তার হয়ে অন্য একজন পরীক্ষা দিতে যান। সেখানে একজন ক্লাস টুয়েলভ পাশ করা ছেলে-মেয়ের জায়গায় পরীক্ষা দিতে যান কোনও মেডিক্যালের পড়ুয়া। স্বাভাবিকভাবেই নিমেষেই পরীক্ষা সেরে ফেলতে পারেন সে। তারপর আর মেডিক্যালে উত্তীর্ণ হওয়া কে আটকায় !

২০২১-এর NEET পরীক্ষার সময় এই র‍্যাকেটটির কথা প্রথম সামনে আসে। তখন একটি অন্য ছাত্রের হয়ে পরীক্ষায় বসেছিল জুলি কুমারি নামে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী।বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এ সতীশ গণেশ জানান, NEET exam solver gang কেস-এ এই প্রথম কোনও পরীক্ষার্থীকে ধরা সম্ভব হল। উত্তর প্রদেশের পুলিশের অনুমান, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে অন্তত ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী জড়িত থাকতে পারে। প্রথমে এই র‍্যাকেটের মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে বের করেছিল বারাণসী পুলিশ, কিন্তু তারপর পরিবার-সহ পালিয়ে যায় সে।

জানা গিয়েছে, নাগপুরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে আসত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। যারা অন্য ছাত্র-ছাত্রীর হয়ে পরীক্ষায় বসত। সিবিআই সেই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *