আজ খবর ডেস্ক- পুরভোটে ১৩৪ টি আসন পেয়ে বিধানসভার ধারা বজায় রাখল তৃণমূল। ছোট লালাবাড়ি এবারও সবুজের দখলে। তাই গুয়াহাটি সফরের আগে তৃণমূলের নিশ্চিত জয় প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল খুশির সুর। বললেন, “আমি সকল মানুষ ও ভাই-বোনদের প্রণাম, অভিনন্দন এবং সেলাম জানাই। গণ উৎসবের মত করে এই নির্বাচন হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জয়। আমরা মা-মাটি-মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা যত আশীর্বাদ দেবেন, তত মাথা নত করে কাজ করব। কলকাতা আমাদের গর্ব। বাংলা আমাদের গর্ব। কলকাতা এবং বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে।”
সেই সঙ্গে পুরভোটের সময় থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ এনে বিরোধীদের সরব হওয়াকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম মানুষের ভোটে হেরেছে। এই রায় আমাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে আরও সাহায্য করবে। আমরা মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ। তাই এই ফলাফল। বিজেপি ভোকাট্টা। সিপিএম নোপাত্তা। কংগ্রেস স্যান্ডউইচ হয়ে গিয়েছে।”
জয়ের পরই পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিদায়ী প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । বলেন, এবার থেকে পুরসভা বাৎসরিক রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে। যেখানে বোর্ডের কোন কোন কাজ ও পরিষেবার লক্ষ্য ছিল , সেগুলির মধ্যে কোনগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে, কোনগুলি বাকি রয়েছে, বাকি থাকার কারণ কী, সেগুলি সম্পর্কে কী পরিকল্পনা রয়েছে, এই সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ থাকবে।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, নতুন পুরবোর্ডে অগ্রাধিকার পাবে এডিবি-র প্রকল্পের কাজ শেষ করা। তারপরই পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়, যেমন বায়ু দূষণে রাশ টানা, সবুজায়ন বৃদ্ধি, জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি।
এছাড়া জয়ী কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
“কাউন্সিলরদের ‘যখন ডাকি ,তখন পাই’ হতে হবে। মানুষের পরিষেবায় নিযুক্ত থাকবে হবে। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তৃণমূলের রেকর্ড মার্জিনে জয়ের পর এই মুহূর্তে মহানগরীর বাতাসে একটাই প্রশ্ন ভাসছে, কে হবেন নতুন মেয়র ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মেয়র হিসেবে একাধিক নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। আগামী ২৩ শে ডিসেম্বর মহারাষ্ট্র নিবাসে এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।