আজ খবর ডেস্ক : খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের শুরুর খাদ্যগ্রহণ আমাদের সকলের স্বাস্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৈশভোজের পর সকালের জলখাবার অত্যন্ত জরুরি। দুপুরের খাবারে কিছুটা বিলম্ব করা গেলেও ব্রেকফাস্টে তা না করাই ভালো। সকালের জলখাবারের পর যদি দুর্বল বোধ হয় , তাহলে বুঝতে হবে, সকালে ঠিকভাবে জলখাবার খাওয়া হয়নি।
সকালের জল খাবারের কয়েকটি নিয়ম মাথায় রাখা জরুরি :
চিনির পরিমাণ কমাতে হবে। ব্রেকফাস্টে যদি জ্যাম, কর্নফ্লেক্স, বেকড ফুড বা কিনে আনা ফলের জুস খান তবে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। কারণ এর মাধ্যমে শরীরে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি যাচ্ছে এবং ক্যালোরি বাড়ছে।
ফলের জুসের পরিবর্তে ফল ফল খান। কারণ এতে বেশি পরিমাণ ফাইবার , কম মিষ্টি এবং কম ক্যালোরি থাকে। বেকড ফুড, কর্নফ্লেক্স বা বিস্কুট সুস্বাদু লাগলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো নয়।
সকালে সফট ড্রিঙ্কস, মিষ্টি চা, কফি, লেমোনেড , ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড খেলে শরীরে ক্যালোরির। ক্যালোরি সব খাবারেই থাকে কিন্তু শুধু ক্যালোরি গ্রহণ করা একেবারেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না। সেইজন্য জলখাবার হতে হবে পুষ্টিকর। পোচড ডিম, স্মোকড স্যামন, বা চিকেন ও সব্জির স্যান্ডউইচ খাওয়া যেতে পারে।
প্রোটিন শুধু মাংসপেশী গঠনেই নয়, সঙ্গে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু সকালের জলখাবারের প্লেটে শুধু আমিষ পিৎজা বা প্রোসেসড় মিট থাকবে তেমনটা করলে চলবে না। শরীরের পক্ষে ভালো এমন খাবার বেছে নিতে হবে। যেমন , সোয়াবিন, ইয়োগার্ট, দই, আখরোটের মাখন, পনীর বা দুধ।স্কিমড মিল্কও পান করতে পারেন, যাতে ফ্যাটের পরিমাণ শূন্য।
তৈলাক্ত বা ভাজা খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ তাতে হাইপারটেনশনের মতো অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মাথায় রাখতে হবে, তাড়াহুড়ো করে প্রাতঃরাশ করা চলবে না। তাড়াহুড়োতে খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া হয়না। যার ফলে শরীরে স্থুলত্ব আসতে পারে। এইজন্য সব সময় খাবার ধীরেসুস্থে এবং ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।
সকালের খাবার এড়িয়ে একেবারে দুপুরের খাবার খেয়ে নেওয়া চলবে না। আবার কেউ কেউ খিদে না পেলে জলখাবার খান না । সকালের জলখাবার অবশ্যই খাওয়া উচিত। এতে সারা দিনের এনার্জি পাওয়া যায় ।