আজ খবর ডেস্ক : দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক ! আশঙ্কার তালিকায় রয়েছে রাজধানী দিল্লি ও মহারাষ্ট্র। শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ৬৫ , দিল্লিতে ৫৪ , তেলেঙ্গানায় ২০, রাজস্থানে ১৮ , কর্নাটকে ১৯, কেরালা ১৫ ও গুজরাটে ১৪ টি ওমিক্রণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এই নতুন স্ট্রেনের সংক্রমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে, বিশেষত দিল্লিতে পূর্বে বহাল থাকা কোভিডবিধি যেমন নাইট কারফিউ, জমায়েতে বাঁধা ইত্যাদি পুনরায় চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ একটি লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন , “বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে, ওমিক্রন ডেল্টার থেকে কমপক্ষে ৩ গুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। এছাড়াও, ডেল্টা এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত রয়েছে। তাই, আরও বেশি দূরদর্শিতা, তথ্য বিশ্লেষণ , গতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে কঠোর এবং তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলা স্তরে এই বিষয় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।”

এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা বা প্রভাব খুবই কম হলেও সংক্রমনের হার যথেষ্ট বেশি হওয়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার সকালে রিপোর্ট পর্যন্ত, দেশ জুড়ে ১২ টি রাজ্য থেকে ৭৭ জন মানুষ ওমিক্রণে আক্রান্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ তে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে “সমস্ত ক্লাস্টার নমুনা দেরি না করে পাঠাতে হবে INSACOG ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য”।

সেই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফ থেকে সমস্ত গুরুতর শ্বাসজনিত অসুস্থতা (এসএআরআই) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতাগুলি (এসএআরআই) ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা করে কেস অনুসন্ধান এবং পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে বলা হয়। রাজ্যগুলিকেও আরটি-পিসিআর টেস্টের মাত্রা বাড়ানো ও সমস্ত কোভিড-পজিটিভ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, ট্রেসিং এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর পর্যবেক্ষণ সহ পরীক্ষাগুলি সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *