আজ খবর ডেস্ক- বছর শেষের উদ্দাম আনন্দে ফের রেকর্ড ছুঁল করোনা সংক্রমণ। তাতেও রক্ষা নেই। দোসর ওমিক্রন। গত বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রের তরফে কড়াকড়ি ছিল। ছিল লকডাউনের লাল সতর্কতা। ভাকসিনের কারণে এই বছর কড়াকড়ি কিছুটা হাল্কা হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। ২০ দিন পর, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়াল।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৯৫ জন। মঙ্গলবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮। বুধবার দেশের দৈনিক আক্রান্ত মঙ্গলবারের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি। এর জেরে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৮ হাজার ৮৮৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮১ জন। এর মধ্যে ২৩৮ জনই দিল্লির। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। এই দুই রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি এই দুই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণও গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্ত পৌঁছে গিয়েছে ৫০০-র কাছে। মহারাষ্ট্রেও তা ২হাজার পার করেছে।
মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। এদিন করোনা আক্রান্ত অভিনেতা রণবীর শোরে ও কঙ্কনা সেনশর্মার পুত্র। জানা গেছে, সম্প্রতি তাঁরা গোয়াতে ছুটি কাটাতে গেছিলেন।
দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র ছাড়াও গুজরাত (৭৩), কেরল (৬৫), তেলঙ্গানা (৬২), রাজস্থান (৪৬), কর্নাটক (৩৪), তামিলনাড়ুতে (৩৪) ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। তার মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। দেশে ৭৮১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪১ জন।
শুধু ক্রিসমাস কেটেছে। এখনও ৩১শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি উদযাপন বাকি। রয়েছে এলাহাবাদের কুম্ভ মেলা, এই রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলা। দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। আপাতত একাধিক রাজ্যে ফের আংশিক লক ডাউন চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭৭ হাজার ২ জন।