আজ খবর ডেস্ক : মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে দেশজুড়ে সমীক্ষা চলছে এবং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রস্তাব মেনেই খুব দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় সরকার।
আমাদের দেশে মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষদের ২১ বছর। এই ভেদাভেদ মেটানো নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল অনেকেই। ‘সারদা আইন (১৯২৯)’ সংশোধন করে ভারতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়েছিল। এখন শিক্ষা, চাকরি বা গবেষণা সমস্ত ক্ষেত্রেই মহিলারা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু দেশের বহু প্রান্তেই এখনও মহিলাদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
মহিলাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত ও পরিণত হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া এবং মাতৃত্বের মত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার দরুন মোদী সরকার তাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছেন। তাই মহিলাদের পুষ্টি এবং প্রসবকালীন মৃত্যুর হারের দিকে নজর দিতেই এই বয়স বাড়ানোর দাবি উঠেছিল দেশজুড়ে।
মেয়েদের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গত জুন মাসে রাজনীতিবিদ তথা সমাজকর্মী জয়া জেটলির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। দশ সদস্যের এই কমিটিতে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল ছাড়াও রয়েছেন স্কুলশিক্ষা , উচ্চশিক্ষা , স্বাস্থ্য , নারী ও শিশুকল্যাণ সচিবরা। মাতৃত্বের বয়স, মহিলাদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখা এবং প্রসূতির মৃত্যুর হার কমানো , ইত্যাদি নানা বিষয়ে নজর রেখে রিপোর্ট তৈরি করেছে এই কমিটি।