আজ খবর ডেস্ক : নিজের মেয়ের কলেজের পরিচয়পত্র চুরি করলেন মা ! কারণ শুনলে আরও অবাক হবেন। কলেজের ছেলেদের সঙ্গে ফ্লার্ট করার জন্য নিজের মেয়ের পরিচয়পত্র লোপাট মায়ের । সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার মিসুরীতে। ৪৮ বছরের লরা অগলেসবি নিজের ২২ বছরের মেয়ে লরেন হেজের পরিচয়পত্র চুরি করলেন।জানা গিয়েছে, লরা অগলেসবি তাঁর মেয়ে লরেন হেজের পরিচয়পত্র চুরি করেন , কারণ তাঁর মেয়ে যে সকল সুবিধা পায়, সেই সমস্ত সুবিধা তিনি নিজেও ভোগ করতে চান । তিনি চান তাঁর মেয়ের কলেজে গিয়ে, সেখানকার কম বয়সী ছেলেদের সঙ্গে প্রেমালাপ করতে।

খবর অনুযায়ী, লরা অগলেসবির এই প্রতারণার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর। সেই সময় আরকানসাসে থাকতেন লরা। ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসুরীর ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস মারফত জানান হয়েছে যে, লরা অগলেসবি তাঁর মেয়ে লরেন হেজের পরিচয়পত্র জোগাড় করেছিলেন মেলের মাধ্যমে। তারপরই মেয়ের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মা লরা অগলেসবি মিসুরি থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সও তৈরি করে ফেলেন। এরপর লরা মিসুরীর একটি ছোট শহর মাউন্টেন ভিউতে থাকতে শুরু করেন। আর সেখানে থাকাকালীনই তিনি তাঁর মেয়ে লরেন হেজের নাম এবং বয়স চুরি করেন। অর্থাৎ লরেন হেজের পরিচয়পত্র ব্যাবহার করে লরা অগলেসবি হয়ে যান লরেন হেজ।

সেখানকার সবাইকে তিনি জানান , তিনি ওয়েস্ট ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন ছাত্রী, এবং সেখানকার লাইব্রেরিতে কাজও করেন। পুলিশি তরফ থেকে জানান হয়েছে যে, সেই সময় লরা নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে একাধিক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই যুবকরাও মনে করতেন যে, লরা অগলেসবি একজন ২২ বছর বয়সি মহিলা।শহরের এক দম্পতিই নিজেদের বাড়িতে লরা অগলেসবিকে থাকার অনুমতি দেন। সেই দম্পতি পরবর্তীকালে পুলিশকে জানিয়েছেন যে, লরা অগলেসবি নিজেকে ২২ বছরের বলে দাবি করতেন এবং ১৭ বছর বয়সী মেয়ের মতো আচরণ করতেন। লরা চাইতেন নিজেকে এক জন সরল-সিধে, বোকা হিসেবে প্রত্যেকের সামনে তুলে ধরতে। উদ্দেশ্য একটাই, যেন সবার প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন তিনি।

তবে এখানেই গল্পের শেষ নয়। এরপর লরা অগলেসবি নিজের মেয়ের নাম করে একজনের থেকে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা ধার নেন। এরপর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাঁকে ৫ বছর কারাবাসে দণ্ডিত করা হয়। হাজতবাসের শাস্তি ছাড়াও, মেয়ে লরেন হেজের পরিচয় ব্যবহার করার অপরাধে লরাকে ১৩ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *