আজ খবর ডেস্ক- শেষ দশ বছরে সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক একাউন্টে পড়ে রয়েছে বিশাল পরিমাণ টাকা। যা কার্যত ছোঁয়াই হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। এবার রাজ্যসভায় সেই টাকার হিসাব দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২৬ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা পড়ে আছে অব্যবহৃত। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি নয় বরং সমবায় ব্যাংক গুলিতেও পড়ে আছে বিশাল পরিমাণ অর্থ।
জানা গিয়েছে, ৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৯ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই বিশাল পরিমাণ অর্থ পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০২০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই তথ্য তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। নির্মলা সীতারামন এও জানান, ৭৭ লাখ ৩ হাজার ৮১৯ টি শহরাঞ্চলে সমবায় ব্যাংক গুলোতে পড়ে রয়েছে ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ৩১ শে মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলোতে পড়ে রয়েছে .৭১ কোটি ৬৪ টি অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির তরফের নিয়ম রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টে যদি কোনও আদান-প্রদান না হয়, সেই ক্ষেত্রে গ্রাহককে চিঠি দেওয়া হয় সেই বিষয়ে। সেই ক্ষেত্রে গোটা একবছর পরে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই কাজ করা হয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দু’বছর ধরে পড়ে রয়েছে যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট, যাতে কোনও আদান-প্রদানের কাজ হয়নি এই দীর্ঘদিন ধরে, সেই ক্ষেত্রে তাদের একটি তালিকা তৈরি করে জানাতে কেন্দ্রকে।
এই ক্ষেত্রে উঠে আসছে ২০১৪ সালের ডিপোজিটর অ্যাওয়ারনেস এডুকেশন ফান্ড এর কথা। যে সকল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি দীর্ঘ দশ বছর ধরে পড়ে রয়েছে, যেখানে কোনও লেনদেন করা হয়নি সেই অর্থ চলে যাবে ওই ফান্ডে। শুধু তাই নয় পড়ে থাকা অর্থের সঙ্গে যে পরিমাণ সুদ যোগ হয়েছে ওই দশ বছরে সেই সুদ সমেত মূল অর্থ পৌঁছে যাবে ফান্ডে। তবে এর পরিবর্তে ও বিকল্প পথ রয়েছে ব্যাঙ্কগুলোর তরফ থেকে। যদি কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রাহকের টাকা এডুকেশন ফান্ডে চলে গিয়েছে এবং তার পরের গ্রাহক সেটা টাকার দাবি জানিয়েছেন, তাহলে ফের ওই গ্রাহককে সুদ সমেত মূল অঙ্ক ফিরিয়ে দেওয়া হবে। গৃহ লোন সংস্থা গুলির জন্য বেশ কিছু নিয়ম ধার্য করা হয়েছে বৈঠকের পর। পাশাপাশি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে কমিটি নজর রাখবে লোন সংস্থাগুলির যাবতীয় কাজ কর্মের উপর।