আজ খবর ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার রাজ্যসভাকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমবায় ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির অচল অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৬,৬৯৭ কোটি টাকা পড়ে আছে। আর এই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি, যেগুলি প্রায় বিগত ১০ বছর ধরে পরিচালিত হয়নি।অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে (SCBs) এই জাতীয় অ্যাকাউন্টের মোট সংখ্যা ছিল ৮১,৩৩৪,৮৪৯ , যায় মধ্যে জমা থাকা মোট অর্থের পরিমাণ ২৪, ৩৫৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, অ্যাকাউন্টগুলি প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়নি। এই ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এবং আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিতে (ইউসিবি) এই ধরনের অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে যথাক্রমে ৭৭,০৩,৮১৯ এবং ২৩৪১ কোটি টাকা টাকা রয়েছে।

তিনি বলেছেন, “গত বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমানত অ্যাকাউন্ট (অর্থাৎ পাবলিক ডিপোজিটগুলি ম্যাচিউরড হয়েছে কিন্তু ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও তা তোলা হয়নি) এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলিতে (এনবিএফসি) এই ধরনের অ্যাকাউন্টে অর্থের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৪ কোটি টাকা এবং ০.৭১ কোটি টাকা ।”আরবিআই দ্বারা জারি করা নির্দেশ অনুসারে, ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলির বার্ষিক পর্যালোচনা করতে হবে, যেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে নিশ্চল সেক্ষেত্রে সেই অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের বিষয়টি নিয়ে অবহিত করতে হবে। সেইসঙ্গে কেন অ্যাকাউন্ট অপারেশন বন্ধ রয়েছে তার কারণগুলি খুঁজে বের করতে হবে।এই বিষয় নির্মলা সীতারামান বলেছেন, “ব্যাঙ্কগুলিকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যে অ্যাকাউন্টগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, অর্থাৎ যেখানে দুই বছরের মধ্যে অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন হয়নি সেগুলির ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বা আইনগত উত্তরাধিকারীদের হদিস খুঁজে বের করার জন্য, এর জন্য একটি বিশেষ ড্রাইভ শুরু করার কথাও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।”

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে দশ বছর বা তার বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা অ্যাকাউন্ট, নিষ্ক্রিয় থাকা দাবিহীন আমানত পুঞ্জিত অ্যাকাউন্টগুলির তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকায় অ্যাকাউন্টধারীদের নাম ও ঠিকানা থাকতে হবে।”এই ধরনের অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের বিষয় পদক্ষেপের নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর সংশোধনী এবং উক্ত আইনে ধারা ২৬A সন্নিবেশের ভিত্তিতে, RBI ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ড (DEAF) স্কিম, ২০১৪ তৈরি করা হয়েছে। স্কিমের পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাঙ্কগুলি ১০ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য অপারেট করা হয় না এমন সমস্ত অ্যাকাউন্টে ক্রমবর্ধমান ব্যালেন্স গণনা করে এবং সেই সঙ্গে যদি কোন সুদ থেকে থাকে তবে সেই অর্জিত সুদের পরিমাণ DEAF-তে স্থানান্তর করে। .

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায়, “DEAF আমানতকারীদের স্বার্থ প্রচারের জন্য এবং এই ধরনের অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।যা RBI দ্বারা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে৷ কোনো গ্রাহকের যদি আমানত DEAF-এ স্থানান্তরিত আমানত ফেরত নেওয়ার থাকে তবে সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে গ্রাহককে সেই অর্থ পরিশোধ করতে হবে, তার উপর যদি কোন সুদ থাকে তবে সুদ সহ, এবং DEAF থেকে এই আমানত ফেরতের জন্য গ্রাহককে একটি দাবি দায়ের করতে হবে,”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *