আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ এরপরই জাতীয় রাজনীতিতে পা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পদক্ষেপে গোয়ায় সেখানকার স্থানীয় কোন দলের সঙ্গে জোট বাঁধার সন্ধানে ছিল তৃণমূল। গতকাল শেষমেশ সেই অনুসন্ধান শেষ হল তৃণমূলের। সুধীন ধবলিকারের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টির সাথে একটি জোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সবুজ শিবির। এই দলটি ২০১৭ সালে কংগ্রেসের একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়া সত্ত্বেও বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বিশেষ সাহায্য করেছিল। তারপর তার দলের দুজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরপরই ২০১৯ সালের মার্চ মাসে গোয়াতে বিজেপি, সরকার থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সুধীন ধবলিকারকে বাদ দিয়ে দেয়।

সুধীনের ভাই দীপক ধবলিকার গতকাল সন্ধ্যায় এমজিপি এবং তৃণমূল জোটের কথা ঘোষণা করেন। সেই সময় তাঁর সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেত্রী মহুয়া মৈত্র। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন: “এই জোট তৃণমূলের লড়াকু মনোভাব এবং গোয়ার MGP-এর গভীর ইতিহাসের সংমিশ্রণ। আমরা বিশ্বাস করি যে গোয়ার মানুষ যারা বিজেপির থেকে পরিত্রাণের বিকল্প খুঁজছিলেন, তাঁদের অনুসন্ধানের দিন শেষ ।”

এই জোটের আগে তৃণমূলের তরফ থেকে আরও একটি প্রাক্তন বিজেপি মিত্র এবং একটি স্থানীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু জোটের ব্যাপারে কিছু বিষয় মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় সেই চুক্তিটি হয়নি।

সূত্রের অনুমান, গোয়ার প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা, লুইজিনহো ফালেইরো, যিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এবং দলের জাতীয় সহ-সভাপতি, তাঁর উদ্যোগেই এই জোট গঠিত হয়েছে।

এই বিষয় আরও জানা গিয়েছে যে , এমজিপি গোয়ার মোট ৪০ টি আসনের মধ্যে ৯ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এছাড়া তৃণমূল আরও স্থানীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অন্যান্য সংগঠনের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে।

অন্যদিকে গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তাঁদের তরফ থেকে আবার দাবি করা হচ্ছে যে, তৃণমূল গোয়ায় বিজেপিকে সাহায্য করছে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা ২০১৭-এর উদাহরণ টেনে এনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসও একসময় বেশি আসনে জেতার সত্ত্বেও, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি এবং এমজিপির সমর্থনে বিজেপিকে সরকার গঠনের অনুমোদন দিয়েছিল।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কংগ্রেস বিদ্বেষের একটি যথার্থ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যদি আমার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তবে আমি কেন পারব না? ওখানে প্রায় প্রতিটি সিটে আমার বিরুদ্ধে লড়ছে কংগ্রেস। আমিও এখানে লড়তে পারি। আমার মূল উদ্দেশ্য গোয়া থেকে বিজেপিকে উৎখাত করা। সেক্ষেত্রে এর আগে কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন কিভাবে গোয়ায় বিজেপির অনুপ্রবেশে তারা মদত দিয়েছিল তাও আমার জানা।”

তারমধ্যে গোয়ার নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে দুই দিনের সফরে বিজেপির গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবেন্দ্র ফড়নাবিসও ওই রাজ্যে পৌঁছেছিলেন। সেখানেও চরম বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *