আজ খবর ডেস্ক- নতুন বছরে শিল্প নিয়ে আশার বার্তা দিল ব্লুমার্গ ইকোনোমিক্স । এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০২২ সালে শিল্প ক্ষেত্রে বাড়তে পারে উৎপাদন। ফলে পণ্যের দাম কমতে পারে। ফলত বাড়তি চাহিদার উপর ভর দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি। তবে মারণ ভাইরাস সমস্ত আশায় জল ঢেলে আবারও শোনাচ্ছে ।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, ২০২২ সালে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ওমিক্রণ। সেই সঙ্গে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চিনের অর্থনৈতিক মন্দা, ইউরো মুদ্রা সংকট, খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পশ্চিম এশিয়ায় চলমান অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাণিজ্য।
ইতিমধ্যেই ওমিক্রনকে ” ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন ” এর তালিকায় রাখা হয়েছে। চরিত্রগত ভাবে সঠিক ভাবে নিরীক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। তাই যে কোন সময় বড়ো রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারে এই নতুন স্ট্রেন।হুয়ের মতে, ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রমক হতে পারে ওমিক্রন। যদি বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই নতুন স্ট্রেনের মারণ ক্ষমতা অনেক কম। তাই একাংশের দাবি অর্থনীতির উপর সেভাবে প্রভাব ফেলবে না ওমিক্রন। তাই অর্থনীতিবিদদের দাবি আগামী বছরই প্রাক অটিমারির পর্যায় হাল ফিরতে পারে অর্থনীতির।
দীর্ঘ সময় যাবৎ লকডাউন চলায়, জিম , রেস্তোরাঁর মত জায়গাগুলি থেকে অনেকটা দূরে আছে মানুষ। সেই তুলনায় খাদ্যসামগ্রী কেনার দিকে অনেক বেশি ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। কিন্তু ব্লুমার্গের মতে, আগামী বছরে বদলে যাবে চিত্র। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে ৫.১ শতাংশ হারে।
তবে ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে ওমিক্রণ আতঙ্কে বন্ধ করা হয়েছে আন্তজার্তিক বিমান পরিষেবা। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশীয় সীমাও। তাই একদল অর্থনীতিবিদদের দাবি, আগামী বছরেও কমবে চাহিদার বাজার। তার উপর যদি পরিস্থিতি দেখে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেক্ষেত্রে চাকরি হারাতে পারে বহু মানুষ।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে আমেরিকার তরফ থেকে বলা হয়েছিল মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশে আটকে রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছিল বাস্তবে সেই মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
তাই অনেকের ধারণা আগামী বছরের রাশিয়াও ইউক্রেনের মধ্যে সমস্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়বে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর ওমিক্রণের হাত ধরে যদি সত্যিই তৃতীয় ঢেউ শুরু হয় তাতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি।