আজ খবর ডেস্ক : পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ এনে এবার পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হল বিরোধীরা। গতকাল কলকাতা পুরভোট উপলক্ষে শহরজুড়ে একাধিক জায়গা থেকে হিঃসার ঘটনা সামনে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে । ওইদিন সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৪,৯৫৯ টি কেন্দ্রে মোট ৬৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোট দান পর্ব চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায় ৪৫৩ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। হিংসার ঘটনায় ২০৯ জনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছিছেন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নবীন মিশ্র এবং তার নির্বাচনী এজেন্ট রবীন্দ্র চৌধুরী।
বিরোধীদের তরফ থেকে মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীদের বুথে প্রবেশে বাধা, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়। সেই সঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের তরফ থেকে এক জোটে নির্বাচনী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এজেন্টের উপর হামলা চালাচ্ছে , এমনই অভিযোগ এনে, ১০১, ১০২, ১০৯ ও ১১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এজেন্ট প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। শিয়ালদহ, বেলেঘাটা ও উত্তর কলকাতার খান্নায় বোমাবাজির জেরে একাধিক আহতের খবর পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে একে অপরকে দায়ী করে তৃণমূল ও বিজেপি।
ওইদিন নির্বাচন শেষেই পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কমিশনকে বলেছি, যদি দম থাকে তাহলে ভোট বাতিল করে পুর্ননির্বাচন করুন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ধুলো মিশিয়ে দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “পিসি-ভাইপো এ জিনিস চালাতে পারেন না, চলবে না। বিধানসভায় সিপিএম যেমন শূন্য হয়েছে, কংগ্রেস যেমন শূন্য হয়েছে, একদিন তৃণমূলও শূন্য হবে।” এরপর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে এই বিষয় দেখা করেন।
সিপিএম-এর তরফ থেকেও প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টদের উপর হামলার অভিযোগে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন যে দলের পক্ষ থেকে সোমবার এবং মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হবে।