আজ খবর ডেস্ক : ডেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত খনি এলাকায় একাধিক গ্রাম পরিদর্শন করলেন রাজ্য সরকার মনোনীত কমিটির প্রধান, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। কথা বললেন সেখানকার মানুষদের সাথে, শুনলেন তাদের কথাও।রবিবার খনি এলাকায় অবস্থিত পাথারচাল, গাবারবাথান ও হরিণশিঙা গ্রামে যান তিনি। পরমব্রতর সফর সঙ্গী ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক তন্ময় ঘোষ ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসের ২৮ তারিখও ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। খনি হলে বসবাসকারী মানুষদের, বিশেষত আদিবাসীদের স্বার্থ ও অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে কি না, তা দেখতে এবং এলাকাবাসী ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয় উদ্যোগী হতেই গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের ওই কমিটি।
শনিবারই ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় গিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বাসিন্দাদের জমি না ছাড়ার বার্তা দেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানরা। তার পরের দিনই কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই আচমকা কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যান।স্থানীয় সূত্রে খবর, খনি নিয়ে কমিটির সদস্যেরা স্থানীয়দের কাছে মত জানতে চাইলে, তাদের তরফ থেকে প্রস্তাবিত খনি ও ঘোষিত প্যাকেজ সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন ও সংশয়ের কথা উঠে আসে।জানা গিয়েছে, কমিটির সদস্যদের সামনে পেয়ে এক স্থানীয় ব্যাক্তি প্রশ্ন করেন , ‘‘আমার চাকরির বয়স পেরিয়েছে। আমার ছেলের বয়স ১৬। তা হলে চাকরি পাবে কে?’’ অনেকের দাবি ছিল তাঁরা একটু খোলামেলা পরিবেশে থাকতে চান। কেউ আবার বলেন, ‘‘এখানেই ঠিক আছি।’’ আর এক বাসিন্দার প্রশ্ন ছিল, ‘‘যাঁদের জমি নেই তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা? তাঁরা কি আদৌ চাকরি পাবেন? বা ক্ষতিপূরণ মিলবে কি?’’
ওই দিন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবদাস দাসও এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি কমিটিকে ঘোষিত সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে কিছু বিষয় সংযোজন করার প্রস্তাব দেন। সেই বিষয় জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতিকেও জানান হয়। তাঁর কথায়, ‘‘সেখানে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে তবে পাড়ায় পাড়ায় প্যাকেজ নিয়ে বসা যাবে।’’ এছাড়া প্যাকেজের প্রতিলিপি বিলি করা হলেও সবার পক্ষে তা বোধগম্য হয়নি বলেও জানান তিনি। তবে পরমব্রত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কমিটির আহ্বায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের কথা শুনেছি। যা উঠে এসেছে তা নিয়ে প্রশাসন ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।’’