আজ খবর ডেস্ক- ইতিমধ্যেই ঋণখেলাপিদের সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা এসেছে ব্যাঙ্কগুলির ভাঁড়ারে। সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানলেন, নীরব মোদী বা বিজয় মাল্যর মতো ঋণখেলাপিদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাঙ্কগুলি মোট ১৩১০৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। তারপরই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, গত ৭ বছরে ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ বাবদ উদ্ধারকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার কোটি টাকা ।
দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে বেশ কিছু ব্যবসায়ী তথা শিল্পপতির। ওই সমস্ত ঋণখেলাপিদের একাংশ আবার গা ঢাকা দিতে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। আর অপরদিকে ব্যাঙ্কের মুক্ত অর্থনীতির হাওয়ায় আমানতের উপর প্রতি বছরই সুদ কমছে। ফলত দেশের অধিকাংশ মানুষ আমানতের সুদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায়, অবসরপ্রাপ্ত মানুষজনের উদ্বেগ বেড়েছে। এই নিয়ে জনমানসে অসহায়তার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশকে ।
‘কালা ধন’ বিদেশ থেকে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে মোদীর মুখে। এই তালিকায় মেহুল চোক্সী, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের মতো আরও ঋণখেলাপি রয়েছেন , যাঁদের সম্মিলিত অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। সেই অনাদায়ী ঋণের পাহাড় ব্যাঙ্কগুলিকে যেমন আগের থেকে দুর্বল করেছে, তেমনই সাধারণ দেশবাসীকেও দুশ্চিন্তার মুখে ফেলেছে। এর পাশাপাশি একাংশের মত, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সংস্কারের ফলে আগামী দিনে ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য আদৌ ফিরবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে । তাই এই অর্থ পাওয়া গেলেও, সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষা এখনও অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।