আজ খবর ডেস্ক : একসময়কার নিজের এলাকা ডোমজুড়েই বিক্ষোভের সম্মুখীন হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । রাস্তায় তাঁকে ঘিরে দেখান হল কালো পতাকা। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ককে ঘিরে উঠলো বিক্ষোভের ধ্বনি। মীরজাফর, গদ্দার, বেইমান ইত্যাদি বিশ্লেষণযোগে চলল স্লোগান। পরিস্থিতি অনুকূল নয় বুঝে বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়লেন রাজীব।

গতকাল রাতে ডোমজুড়ের তৃণমূল নেতা সুধীর ঘোষ প্রয়াত হন। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৮০। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাই শনিবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে একের পর এক তৃণমূলের নেতা কর্মীদের যাতায়াত শুরু হয়। সেই সময় ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তাঁর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, সলপ মোড়েই আটকে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি। এরপর সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একদল স্থানীয় মানুষ। তাঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলেই দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ককে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তারা। দেখানো হয় কালো পতাকাও । বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ বুঝে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন, প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুধীর ঘোষের ভাইপো তথা সলপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান গোপাল ঘোষ। সেই সঙ্গে ডোমজুড়ের বর্তমান বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের দিকেই পাল্টা অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। ওই ঘটনার পিছনে তাঁর অঙ্গুলিহেলন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোমজুড়ের বর্তমান বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। তাঁর তরফের পাল্টা দাবি, ডোমজুড়ের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সাধারণ মানুষ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ ওইদিন দেখিয়েছেন। এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের টিকিটে দুবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময় রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপর নির্বাচনে পরাজিত হন। এরপর সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় একটি সভায় আবারও তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি করেন রাজীব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *