আজ খবর ডেস্ক- ট্রেনে যেতে যেতে চারদিকে মনোরম শোভা উপভোগ করতে কে না ভালোবাসে। আর সেই উন্মাদনাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আনা হয়েছিল ভিস্তা ডোম কোচ। এবার সেই ধরনের বিশেষ ট্রেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তিনটে রুটে চালানর চিন্তাভাবনা করছে রেল দপ্তর।
মাথার উপরে তাকালেই দেখা যাবে কাচের তৈরি ছাদ। বিশাল বড় জানলা, চারদিকে মনোরম পরিবেশ, রেল যাত্রা করার জন্য আর কি দরকার। তার জন্যই এই বিশেষ ধরনের আয়োজন রেলের। গুয়াহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার, এবং গুয়াহাটি থেকে হাফলং পর্যন্ত নতুন ট্রেনের সুবিধা চালু করতে চলেছে রেল। এখানেই শেষ নয় পরবর্তীকালে আরও দুটি নতুন রুটে এই ধরনের বিশেষ ট্রেন চালাতে ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে রেল আধিকারিকদের তরফ থেকে। ডিব্রুগড় থেকে নাহারলাগুন এবং গুয়াহাটি থেকে নাহারলাগুন পর্যন্ত ট্রেন চালাবে রেল।
বর্তমানে প্রস্তাবিত তিনটি রুট সর্বমোট ২৭২ কিলোমিটার। এই আনন্দ সফর করার জন্য যাত্রীকে গুনতে হবে ১০৩৩ টাকা। রেল সূত্রে দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের দৃশ্য যেকোনও মূল্যে পর্যটককে আকর্ষণ করতে বাধ্য। উত্তর পূর্ব ভারতের রেল লাইনের চারধারে কখনও রয়েছে পাহাড়, কখনও জঙ্গল, শীতকালে আগত পরিযায়ী পাখিদের ভিড় হয় এইসব এলাকায়। নিঃসন্দেহে পর্যটকদের জন্য একেবারে ভিন্ন স্বাদের রেলযাত্রা হতে পারে বলে দাবি করছে রেল।
বর্তমানে আরাকু, কালকা-সিমলা, মুম্বাই, গোয়া, নীলগিরি উপত্যাকা অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ভিস্তা ডোম কোচের ট্রেন চালাচ্ছে রেল। যা ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে যাত্রীদের। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে লোকসানের মুখ দেখেছে রেল। তাই অনন্য উপায় ব্যবহার করে ট্রেন চালাতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা। আপাতত নতুন এই পরিষেবার অপেক্ষায় রয়েছেন রেল যাত্রীরা। আসন্ন শীতের মরশুমে এক অনন্য মাত্রা এনে দেবে রেল পরিষেবা, বলে আশাবাদী দপ্তর।