আজ খবর ডেস্ক- কলকাতা পুরভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন । তার মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভিভিপ্যাড যুক্ত ইভিএম মেশিনে, নির্বিঘ্নে, অবাধ, ভয়মুক্ত রক্তপাতহীন, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কলকাতা কর্পোরেশনের ভোটের দাবিতে, প্রার্থী এবং বুথ এজেন্টদের সুরক্ষা সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পৌঁছান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী এবং ছয় প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা।
আলোচনা শেষে কমিশনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও দীনেশ ত্রিবেদী। শুভেন্দু বাবু জানান, বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২৫ হাজার বিজেপি নেতা – কর্মীরা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন। বহু মানুষকে তাঁদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় প্রাণের ভয়ে। তাই শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করা হয়েছে কমিশনে। সেই সঙ্গে একসঙ্গে ভোট গণনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোর্টের তরফ থেকে কোন সদুত্তর মেলেনি বলেও তিনি জানান। কমিশনের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের আগামী শুনানি পর্যন্ত এই বিষয় তাঁরা কিছুই বলতে পারবেন না।
পাশাপাশি শুভেন্দু বাবু জানিয়েছেন, যে সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বা সন্ত্রস্ত প্রার্থীরা এই নির্বাচনে লড়বেন তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা আর্জি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। কমিশনের তরফ থেকেও বিজেপি নেতৃত্ব কে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের বিশেষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কমিশনে।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী জানান ” জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে লোকসভাকে ইউনিট করে, বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে বিধানসভা ইউনিট করেন,আপনি বুথকে করেছেন। এই সার্কুলার পরিবর্তন করতে হবে। … আমাদের মৌখিক ভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে এই সার্কুলার সংশোধন করা হবে। তবে সামগ্রিক আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই আমরা এবার রাজ্যপালের কাছে যাব। এই বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ অনুরোধ করবো।” সেই সঙ্গে শুভেন্দুর পাশাপাশি দীনেশ ত্রিবেদী এর গলায়ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।