আজ খবর ডেস্ক : দলের উপর অভিমানের জেরে শেষে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন সদ্য প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখপাধায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও শেষে সেই আশা ভঙ্গ করে তৃণমূল। তারপরই মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আসন্ন কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকেই বহু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়। এই তালিকায় থাকা অন্যতম নেতা হলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ডের বিদায়ী কোঅর্ডিনেটর রতন মালাকার। এবার সেই দলেই নাম জুড়ল তনিমার। কিছুটা নাটকীয় ভাবেই মৃত দাদা সুব্রতর ছবি হাতে নিয়েই মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি।তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত বাবু নিজেই চেয়েছিলেন যে তনিমা তৃণমূল প্রার্থী হোক। আর সেই নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়। তারপরে প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকলেও, পরবর্তী সময় সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে তৃণমূল। প্রচার শুরু করে দেওয়ার পর দলের এই বিরূপ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন তনিমা। তারপরই নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আগামী ৪ ঠা ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন।প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তনিমা চট্টোপাধ্যায়কেই নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়। এরপর দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীদের প্রতীক হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলাকালীন আচমকাই দলের তরফ থেকে তাঁকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান হয়। এরপর নতুন প্রার্থী হিসেবে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসে।
কিন্তু টিকিট দিতেই হবে ! এমন জেদ ধরে বসেন তনিমা। রাতভর পার্টি অফিসের সামনেই ধরনা দেন তিনি, এমনও শোনা গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের একটি বড় অংশ সুদর্শনাকেই প্রার্থী করার পক্ষে ছিলেন। তাই শেষপর্যন্ত ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁকেই প্রার্থী করা হয়। আর তনিমা হলেন নির্দল প্রার্থী।