আজ খবর ডেস্ক : নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে চিনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্স। সেই অনুষ্ঠানকে কূটনৈতিকভাবে বয়কট করতে পারে আমেরিকা , এমন এক জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল আন্তর্জাতিক মহলে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক মন্তব্যের জেরে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হল যে, অলিম্পিক গেমস চলাকালীন বেজিংয়ে কোন মার্কিন কূটনীতিবিদদের পাঠানো হবে না।
আগামী ৪ ঠা থেকে ২০ শে ফেব্রিুয়ারি পর্যন্ত বেজিংয়ে চলবে শীতকালীন অলিম্পিক্স। রাজধানী বেজিংয়ের পাশাপাশি হুবেই প্রদেশের ঝ্যাংজিয়াকউ এবং পার্বত্য অঞ্চল ইয়াংকিঙেও আয়োজিত হবে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, বেজিংই একমাত্র শহর যেখানে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন, দুই সময়ই অলিম্পিকের আসর বসানো হয়। কিন্তু বেজিংয়ের ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেই শীতকালীন অলিম্পিক্স কূটনৈতিকভাবে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। বিগত একমাস ধরে বেজিংয়ের পরিস্থিতি তথা চিনের অবস্থানের দিকে কড়া নজর রেখে চলেছেন মার্কিন সরকার। মার্কিনী তরফ থেকে একাধিকবার সতর্ক করার পরও পরিস্থিতির কোন বদল ঘটেনি। তাই উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং হংকংয়ে দমনপীড়ন নিয়ে চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই শেষমেশ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথা দফার অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু এবার আর সেই পথে হাঁটবে ওয়াশিংটন। এই কূটনৈতিক বয়কটের অর্থ হল, আমেরিকার ক্রীড়াবিদেরা শীতকালীন অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করবেন কিন্তু বাইডেন সরকারের প্রতিনিধি ওই অলিম্পিক্সের আসরে উপস্থিত থাকবেন না। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন ডানপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন এবং রাজনীতিবিদরা। এই একই কারণে শীতকালীন অলিম্পিক কৃটনৈতিকভাবে বয়কটের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ব্রিটেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানান, আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে চিনে কোনও কূটনীতিবিদ কিংবা প্রশাসনিক প্রতিনিধিকে পাঠানো হবে না। ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যার প্রতিবাদের জেরেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে মার্কিন অ্যাথলিটরা মেগা ইভেন্টে অংশ নেবেন। তাঁদের প্রতি দেশে সমর্থনও থাকবে।