আজ খবর ডেস্ক- প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের রাজধানী দিল্লি ফের উস্কে দিল “নির্ভয়া”র স্মৃতি। এবার আক্রান্ত পাহাড়গঞ্জের এক তরুণী। বেআইনি মদ বিক্রির প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন তিনি।
বেআইনি মদের কারবারিরা প্রতিবাদী তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর তাঁর মুখে চুনকালি মাখিয়ে, মাথার চুল কেটে এলাকায় ঘোরানো হয়। সঙ্গে জুটল মারধর ও কুৎসিত গালাগাল।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ। দিল্লীর শাহদারা অঞ্চলের ঘটনায় আপাতত তোলপাড় দিল্লি। সমাজ মাধ্যমে একের পর এক মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।
এমনকি অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি পুলিশ প্রথমে বাহুবলীদের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা তরুণীর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে ঐ ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ায় বাধ্য হয় এফ আই আর নিতে।

জানা গিয়েছে, ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি কস্তুরবা নগরে।
২০ বছরের ঐ তরুণী মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
নিম্ন আদালতে বিচারকের সামনে তার ওপর অত্যাচারের যাবতীয় বিবরণ গোপন জবানবন্দী আকারে রেকর্ড করার সময় নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিচারক। জানিয়েছেন তরুণীর সঙ্গে থাকা সমাজকর্মীরা।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন স্বাতী মালিওয়াল। ঘটনাস্থলে ঘুরেও এসেছেন তিনি।

দেশ জুড়ে ফের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দিল্লির রাজপথে আন্দোলন বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই নেমেছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী থেকে শুরু করে শিল্পী কলাকুশলীরা।
নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবার এবং মামলায় সহযোগিতাকারীদের কঠোর থেকে কঠোরতর পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ এসেছে প্রশাসনের ওপর মহল থেকে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশ কে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মামলায় নীরব প্রত্যক্ষদর্শীদের ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য। কারণ, পুরো ঘটনাটি নাকি বহু মানুষের চোখের সামনে ঘটেছে। অথচ, ঘটনা ঘটার সময় কেউ প্রতিবাদ করেননি।
তবে এর পেছনে অন্য কোনও পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *