আজ খবর ডেস্ক: সোমবার থেকে চলছে জল্পনা। তিনি পেয়েছেন নাকি পাননি? তিনি অর্থাৎ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে সকলের কেষ্ট দা। কী পেলেন? ১ কোটি টাকার লটারি।
সোমবার থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে চর্চা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতার ছবি। পিছিয়ে নেই বিরোধী গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “ভানু পেল লটারি”!
কিন্তু জল্পনা শুরু থেকেই একের পর এক মন্তব্যে ধোয়া জিইয়ে রেখেছেন খোদ অনুব্রত।
অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে মুখ খুললেন বীরভূমের কেষ্ট দা। রাজ্যজুড়ে যখন অনুব্রত লটারির পেয়েছেন না পান নি, তা নিয়ে আরেক লটারি খেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঠিক তখন কী বললেন অনুব্রত?
স্বরোজগার দফতরের চেয়ারম্যান পদ প্রাপ্তির পর মঙ্গলবার বোলপুরের সার্কিট হাউসে বোর্ড সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অনুব্রত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো অনুব্রত কে। উত্তরে যথারীতি ধোঁয়াশা বজায় রেখে দিয়েছেন কেষ্ট।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রহস্য বজায় রেখেই অনুব্রত বলেন, ‘‘লটারি পেলেও আমি পাব। লোককে দিলেও আমি দেব। জেনে কোনও লাভ আছে?’’
এদিকে, কেষ্টর লটারিপ্রাপ্তির জল্পনা নিয়ে মঙ্গলবারই নাম না করে ফেসবুকে খোঁচা দিয়েছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা অধুনা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। কেষ্টকে ‘কাকা’ ডাকেন অনুপম। সেই ‘কাকা’র নাম না করে ‘ভাইপো’ অনুপম ফেসবুকে লেখেন, ‘…হঠাৎ করে কী জন্য পেল…সেটাই ভাবার বিষয়!!???’ শুধু দু’লাইন মন্তব্য নয়, এই পোস্টের সঙ্গে “ভানু পেল লটারি” সিনেমার একটা মিমও জুড়ে দেন তিনি। যদিও অনুপমের খোঁচা নিয়ে কোনও জবাব আসেনি বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
এদিকে ফেসবুকে রীতিমত ভাইরাল “ডিয়ার লটারি”র (Dear lottery) টিকিটের ছবি। ঘটনাচক্রে এক কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া রয়েছে সেখানে। ঠিকানার জায়গায় লেখা বোলপুর। অথচ ১ কোটি টাকা সত্যিই পকেটস্থ হয়েছে কিনা, পানিয়ে আগাগোড়া রহস্যময় জবাব দিয়ে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত এই সৈনিক।
নেটিজেনদের প্রশ্ন, এই রহস্য সমাধানে এবার কি ব্যোমকেশ ফেলুদা কে ডাকতে হবে?