আজ খবর ডেস্ক- রুপোলি পর্দার ভিকি ডোনার( vicky donor) যেন বাস্তবের মাটিতে। সন্তান চাইছেন? এমন অনেকেই আছেন, কোনও না কোনও শারীরিক সমস্যা থাকায় সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না।
শুধু ভারত কেন, পৃথিবীর বহু দেশে অসংখ্য দাম্পত্য বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় সন্তান ধারণে অক্ষমতা। সে হতে পারে মহিলাদের জরায়ু অথবা ডিম্বাণুর সমস্যা। আবার বন্ধ হয়ে দাঁড়াতে পারে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট(sperm count)। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এমন অনেক ফার্টিলিটি ক্লিনিক(fertility clinic)। কিন্তু আজ যাঁর কথা শোনাব, তিনি নিজেই যেন “চলতা ফিরত” স্পার্ম ক্লিনিক(sperm clinic)।

স্পার্ম ডোনেশনের (Sperm Donor) কাজ করে ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন ব্রিটেনের এক ব্যক্তি। যাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোন্স গত ১০ বছর ধরে স্পার্ম ডোনেশনের (Sperm Donor) কাজ করছেন। তার এই কাজে তিনি এ পর্যন্ত ১২৯ সন্তানের জৈবিক পিতা(biological father) হয়েছেন।
এখানেই শেষ হয় নি ক্লাইভের যাত্রা। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, সেই মুহূর্তে আরও ৯ সন্তানের জন্ম হতে চলেছে। অর্থাৎ, ৯ জন মহিলার গর্ভে স্থাপিত হয়েছে ক্লাইভের স্পার্ম।
যার ফলে তিনি মোট ১৩৮ সন্তানের পিতা হবেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাইভ বলেছেন যে সংখ্যাটি ১৫০ করার পরে, তিনি এই কাজকে বিদায় জানাবেন।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্লাইভ আনুষ্ঠানিকভাবে স্পার্ম ডোনার (Sperm Donor) হতে পারেন না, কারণ আমেরিকায় দাতা হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ বছর। অথচ ক্লাইভ ৬০ পেরিয়েছে আগেই। এ কারণে, যাঁরা স্পার্ম গ্রহণ করতে চান, তাঁরা ফেসবুকের মাধ্যমে ক্লাইভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তাঁদের চাহিদা পূরণ করার কথা জানান। বড় কথা হল তাঁর এই পরিষেবার জন্য টাকা নেন না ক্লাইভ। তিনি বলেন, কাউকে সুখ দিয়ে, কারও সংসার গুছিয়ে তিনি সুখ পান। ৯-১০ বছর আগে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ পড়ে তিনি এই ধারণাটি পেয়েছিলেন যখন তিনি দেখেছিলেন যে সন্তান ছাড়া মানুষকে কত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

ক্লাইভের এই কর্মকাণ্ডে সতর্কতা জারি করেছে হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি। প্রকৃতপক্ষে, ক্লাইভ তার ভ্যান থেকে শুক্রাণু দানের কাজ চালান কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, যে সমস্ত দাতারা শুক্রাণু দানের কাজ করবেন, তাঁরা শুধুমাত্র আমেরিকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকের মাধ্যমে তা বিক্রি বা ক্রয় করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লিনিকের পরিচালনার মাধ্যমে দাতা এবং গ্রাহক উভয়কেই স্পার্ম দানের প্রভাব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা যেতে পারে।
তাই, আদতে ক্লাইভ যা করছেন তা ভাল কাজ না মন্দ সেই নিয়ে আপাতত তোলপাড় নেট দুনিয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *