আজ খবর ডেস্ক- মেলা হবে নাকি হবে না। দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর অবশেষে গঙ্গাসাগর মেলা হল। অসংখ্য মানুষের এই সমাবেশের
ফোন কী হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তার মধ্যেই মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য ওঠার আগে থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার ছবি ধরা পড়ল, তা কিন্তু প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট।
কথা ছিল ইস্নান হবে। কথা ছিল, একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকেই মেলা প্রাঙ্গণে পুজো দেওয়া অথবা পুণ্যস্নানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা গ্রাফ। কিন্তু আখেরে পুণ্যস্নানের কাছে হার মানল কোভিড বিধি।

এবছর শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমোদন দেয় আদালত। রাজ্য প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানা হবে বলে কোর্টে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সংক্রান্তির দিনে যে ছবি উঠে এল, তা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন রাজ্যবাসীর একাংশ।
রীতিমত হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে ডুব দিচ্ছেন সাগর জলে। সেখানে মাস্ক অথবা স্যানিটাইজারের কোনও বলাই নেই। সংক্রমনের ভয় কে ফুৎকারে উড়িয়ে গলাগলি করে চলছে দেদার সেলফি তোলা।

কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ ছিল, সর্বাধিক ৫০ জনের বেশি জমায়েত চলবে না। কিন্তু, পুণ্য অর্জনের হিড়িকে স্বাস্থ্যের কথা কে ভাববেন?

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সাগরদ্বীপে বৃষ্টি হচ্ছে। মাছ রাত থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে সাগর তটে হাজার হাজার মানুষের জমায়েতে চোখে পড়েছে।
একদিকে যেমন সবথেকে বেশি ভিড় নজরে পড়েছে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটে, অন্যদিকে হুড়োহুড়ি করে মানুষ পুজো দিয়েছেন কপিল মুনির আশ্রমে।
জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে আদালতের পক্ষ থেকেই তৈরি করে দেওয়া বিশেষ কমিটি। তবে সূত্রের খবর, মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কমিটির মধ্যে। যেভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা, আর যেভাবে মেলা চলছে এই দুইয়ের ফারাক নিয়ে সন্তুষ্ট নন কমিটির সদস্যরা।
রিপোর্ট প্রাপ্তির পরে উচ্চ আদালত কী বলবে, আপাতত সেদিকেই নজর সব মহলের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *