আজ খবর ডেস্ক- বিশ্বজুড়ে ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও । প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড ভাঙছে, তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন দেশের কেমন পরিস্থিতি !

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশগুলির কথা বলতে, প্রথমেই নাম আসে আমেরিকার। জানা গিয়েছে,গত সোমবার অর্থাৎ ৩ রা জানুয়ারি আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষের সামান্য বেশি। সেই সঙ্গে ওই দেশে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মুহূর্তে আমেরিকায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের মতই সেখানেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। যাতে যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছে সেখানকার সরকার।

ফ্রান্স : আমেরিকার মত সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ফ্রান্সে দেখা দিচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব । সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা রোগী ছাড়া ফ্রান্সের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আর কোন রোগের চিকিৎসা করার মতো পরিস্থিতি নেই। গত রবিবার যেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৬৭ জন, সোমবারই সেই সংখ্যা লাফিয়ে পৌঁছেছে ২২ হাজার ৭৪৯-এ। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলিভার ভেরান বলছেন, ‘‘ওমিক্রনের মারণ শক্তি কম হতে পারে, কিন্তু যে হারে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাতে অন্য আশঙ্কা দেখছেন চিকিৎসকেরা।’’

ইংল্যান্ড : ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি ততটা উদ্বেগজনক না হলেও সেখানকার মূল সমস্যা হল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায়, কার্যত ভেঙে পড়েছে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেই নিয়ে এই পরিস্থিতিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘‘ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সবচেয়ে জরুরি আমাদের। সচেতনতা। তা হলে লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে না। আশা করি দেশবাসী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবেন।

ইতালি : সেখানকার করোনা পরিস্থিতি বিচার করে ইতিমধ্যে করা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ঠিকানা দিলে ১০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে বলেও হয়। পাশাপাশি নিয়ম জারি করে, রেস্তরাঁ, পানশালা, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদিতে প্রবেশ করতে টিকাকরণের সংশাপত্র দেখান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিংবা প্রমাণ দিতে হবে, যে ব্যাক্তি সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। ট্রেন, বাস, ট্রাম পরিষেবা নিতে গেলেও এই নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া : সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন গত সপ্তাহে! এমন চাপের পরিস্থিতির মধ্যে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘‘ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সবচেয়ে জরুরি আমাদের সচেতনতা। তা হলে লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে না। আশা করি দেশবাসী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবেন।’’

চীন : প্রাথমিক সময় থেকেই চীনকে করোনার আঁতুড়ঘর হিসেবে মনে করা হয়। চীনের জি’জিয়ান ও তিয়ানজিং-এ ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাই
ওই প্রদেশে হওয়ার ঢোকা-বেরোনোর উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তুমি কোনটি সংক্রমণ ব্যাধি সেই দেশে আরও বেশি সংখ্যক করোনা পরীক্ষা শুরু করার কথা বলেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের মত, মারণ ক্ষমতা কম হলেও এতে যে হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই চাপেই দশা চিকিৎসা পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার পরিণাম যথেষ্ট ভয়ঙ্কর হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *