আজ খবর ডেস্ক- ক্ষয় অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। একের পর এক বিধায়ক, সাংসদ দল ছাড়ার পথে। নতুন নাম অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জি। বঙ্গ বিজেপির ওপর ক্ষোভ ব্যক্ত করে এবার দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
বস্তুত,রাজ্য বিজেপির অন্দরে ‘মতুয়া-বিদ্রোহ’ চলতে চলতেই দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ। খড়গপুর সফরের বিধায়ক হিরণ হলেন বিজেপির দশম বিধায়ক, যিনি দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। এর আগে বাঁকুড়ার ৪জন বিধায়ক এবং ৫ জন মতুয়া বিধায়ক গ্রুপ ছেড়েছেন। বুধবার সকালে হিরণের গ্রুপ ছাড়ার খবর জানা যায়।

টলিউড অভিনেতা হিরণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সম্প্রতি দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর নিজের বিধানসভা এলাকায় হিরণের মতবিরোধ হয়েছিল। দিলীপের একটি সভা নিয়ে সেই মতান্তর প্রকাশ্যে এসেছিল।

বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন
অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে আসেন। নিজের মত সভা করেন। আমাকে কিছু জানান না! আমি যেখানে উন্নয়ন, সেখানে থাকব।’’ প্রসঙ্গত, দিলীপ আগে ছিলেন খড়্গপুরের (নির্বাচন কমিশনের দলিলে ‘খড়্গপুর সদর’) বিধায়ক। আপাতত তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ। খড়্গপুর বিধানসভা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।

তৃণমূলে থাকাকালীন হিরণ মূলত যুব তৃণমূলের হয়েই কাজ করতেন। সেই সময় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, পরে সেই সমীকরণে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আসে। তার ফলেই হিরণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন।
হিরণের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, হিরণের ক্ষোভ বঙ্গ বিজেপি তাঁকে ‘কাজে লাগায়নি’। বিষয়টি হিরণ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও জানিয়েছেন। সাংগঠনিক ভাবে তাঁকে রাজ্য বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে না। যদিও বিধায়ক হিসেবে তিনি নিজের কাজ করে চলেছেন। তিনি কলকাতায় না থেকে তাঁর কেন্দ্র খড়্গপুরেই থাকেন। একাধিক চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

জীবনে প্রথম বিধানসভা ভোটে খড়্গপুরে তৃণমূলের ডাকাবুকো প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন হিরণ। কিন্তু ভোটের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাঁরা দিলীপ ঘোষেরর ঘনিষ্ঠ বলেই দলের এক সূত্রের দাবি। অথচ হিরণের ঘনিষ্ঠদের দাবি, মেদিনীপুর থেকে বিধানসভা ভোটে তিনিই বিজেপি-র হয়ে একা জিতেছিলেন। কিন্তু যে গুরুত্ব তিনি বিজেপির থেকে প্রত্যাশা করেছিলেন, তা তিনি পান নি। ফলে হিরণের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘিরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *