আজ খবর ডেস্ক : খেজুরের রস শীতকালের একটি অতি জনপ্রিয় পানীয়। শহরের দিকে এর তেমন জনপ্রিয়তা না থাকলেও, গ্রাম বাংলায় এখন শীতের সকালে খেজুরের রস খেয়ে প্রাণ জুড়ান অনেকেই। সেই সঙ্গে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় শহর গ্রাম নির্বিশেষে প্রত্যেকের কাছেই একটি অতি লোভনীয় খাদ্য। খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠে পায়েসের নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল আসে !

সবজি থেকে শুরু করে মাছ সব ক্ষেত্রেই বর্তমানে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নানান ধরনের রাসায়নিক যোগ করা হয়। সেই ভেজালের মিশ্রণ এড়াতে পারেনি গ্রাম বাংলার খাঁটি খেজুরের গুড়েও। কিন্তু খেজুরের গুড়ে ভেজাল ! তা কী ভাবে সম্ভব ?

জানা গিয়েছে, খেজুরের রসের মধ্যে চিনি, সোডা, ফিটকারি, বিভিন্ন গাছের ছাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। ১০ লিটার রসে মেশানো হচ্ছে প্রায় ১ কেজি চিনি। আর সেই নিয়েই তৈরি হচ্ছে চার কেজি মত গুড়। স্বাদ গন্ধহীন সেই ভেজাল গুড়ই রমরমিয়ে বিকোচ্ছে হাটে বাজারে।জানা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে কম দামে নিম্নমানের ঝোলা ও নরম গুড় কিনে, তাতে মেশানো হচ্ছে রং ও হাইড্রোজ। শীতকালে গুড়ের চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে সেই গুড়ই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

খাঁটি গুড়ের উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেশি হওয়ায় এই অসাধু পথেই গুড় তৈরি করছেন অনেকে। এক প্রান্তিক উৎপাদনকারীর কথায়, ” খেজুর গুড়ের সেই ঐতিহ্য আর নেই। প্রান্তিক পর্যায়ের মৌসুমি গুড় উৎপাদনকারি ও মহাজন সকলেই ভেজাল গুড় তৈরি করছেন। গুড়ের রং ফর্সা ও শক্ত করতে তারা যথেচ্ছভাবে চিনির সাথে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন। “

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *