আজ খবর ডেস্ক- ভারতে ক্যান্সারের ঘটনা ২০১০-২০১৯-এ গড় বার্ষিক ১.১-২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের রিপোর্টে যাই, ভারতে ২০২০ সালে প্রায় ১৩৯২১৭৯ জনের ক্যান্সার হয়েছিল। ইউএনসি স্কুল অফ মেডিসিন দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ক্রুসিফেরাস শাকসবজি (Cruciferous vegetable) ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক।
খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রুসিফেরাস শাকসবজি হল সেইসব সবজি যেগুলো চার পাপড়ির ফুলের মতো দেখতে, একটি ক্রুশ বা “ক্রুসিফার” সদৃশ। এদের অনেক উপকারিতা আছে এবং ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। ব্রোকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম এবং গাঢ় পাতাযুক্ত সবুজ শাক যেমন পালং শাক, কেল এবং কলার্ড সবুজ শাকসবজি হল ভিটামিন সি এবং কে, ফোলেট, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস।
ইউএনসি স্কুল অফ মেডিসিন অনুসারে, ক্রুসিফেরাস শাকসবজিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক একটি যৌগ থাকে, যা খাওয়া হলে আইসোথিওসায়ানেটস এবং ইনডোলে পরিণত হয়, যা প্রদাহ হ্রাসের সাথে যুক্ত, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে যে ক্রুসিফেরাস শাকসবজির বেশি ব্যবহার ফুসফুস, কোলোরেক্টাল, পাকস্থলী, স্তন, প্রোস্টেট এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আরও জানা গেছে যে ক্রুসিফেরাস শাকসবজি জিনকে সক্রিয় করে, যা টিউমারের বৃদ্ধিকে দমন করে এবং ক্যান্সার কোষের স্ব-ধ্বংসকে (Apoptosis) সাহায্য করে। এটিও প্রমাণিত হয়েছে যে গ্লুকোসিনোলেটগুলি এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করতে পারে যা কার্সিনোজেনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে এবং ক্যান্সার কোষগুলির বিস্তারের ক্ষমতা হ্রাস করে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে ক্রুসিফেরাস শাকসবজির কার্যকারিতা রান্না এবং প্রস্তুতির পদ্ধতির উপরও নির্ভর করে, কারণ এটি মূলত পুষ্টির গঠনকে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা নিশ্চিত হতে হবে যে সবুজ শাকগুলি যেন তাজা হয়, এবং খাওয়ার/রান্না করার আগে ভালভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। গ্লুকোসিনোলেটস, ফোলেট এবং ভিটামিন সি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য খাওয়ার আগে সবুজ পাতা ভাপে সেদ্ধ বা হাল্কা ভাজা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।