আজ খবর ডেস্ক- অস্বস্তির কাঁটা বজায় থাকল। পাঞ্জাব এখনও সদয় হল না বিজেপির প্রতি? কৃষক বিক্ষোভের জেরে প্রায় ২০ মিনিট আটকে থেকে ফিরে গেলেন মোদি।
পাঞ্জাবে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় হুসেইনিকওয়ালা মুখী একটি সেতুতে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হল মোদিকে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মোদীর যাত্রাপথে পথ অবরোধ করেছিলেন এক দল বিক্ষোভকারী। ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরে ফিরে আধিকারিকদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘বেঁচে ফিরতে ফেরেছি, এই অনেক! এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী (পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী)-কে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।’’
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালে একটি কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সকালে ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল মোদির। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সড়ক পথে গাড়িতেই রওনা দেন তিনি। এর পর যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে আটকে পড়েন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘আবহাওয়া খারাপ থাকায় সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে ওই সিদ্ধান্ত।’’ নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ঘটনা নিয়ে পঞ্জাবের চরণজিৎ চন্নী সরকারের থেকে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।
যদিও বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নড্ডার অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় মুখ্যমন্ত্রী চন্নীকে ফোনও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোনই তোলেননি। টুইটারে নড্ডা লেখেন, ‘‘কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে যে ভাবে ফিরে আসতে হল, তা খুবই দুঃখজনক। এই রকম সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য পঞ্জাবের উন্নয়ন আটকে থাকবে না।’’
শহিদ মেমোরিয়ালে কর্মসূচির পর ফিরোজপুরে একটি জনসভাও করার কথা ছিল মোদীর। ওই সভা থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া জানান, কিছু বিশেষ কারণে সভায় আসতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।
To make matters worse, CM Channi refused to get on the phone to either address the matter or solve it.
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) January 5, 2022
The tactics used by the Congress government in Punjab would pain any one who believes in democratic principles.
এই বছরেই ভোট পাঞ্জাবে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের রাজনৈতিক হাওয়া যথেষ্ট গরম। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের জের এখনও টাটকা। এই ভোটে কৃষি বিল এবং সেই নিয়ে কৃষকদের দীর্ঘ আন্দোলন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যার ফল পেতে মরিয়া কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বাতিল করে ফিরে আসার জল বহুদূর গড়াবে বলেই ধারণা অধিকাংশের।