আজ খবর ডেস্ক : যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ঘটেছে ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনা। এমনই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে কোচের কোন সমস্যা ছিল না।

আজ সকালেই পরিস্থিতি পরিদর্শনে ময়নাগুড়ি পৌঁছান রেলমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি জানান, ” আমি নিজে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেছি। আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে যে ইকুইপমেন্টগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো সংগ্রহ করে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেখানে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না । বেশ কিছু চিহ্নও পাওয়া যেতে পারে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার গোড়ায় গিয়ে তদন্ত করা হবে।”

পাশাপাশি তিনি জানান, ” কোচের জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। নতুন অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ অধিকাংশ ট্রেনেই চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে কোচের জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। আজই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করে দেখবে। কিছুসময়ের মধ্যেই আধিকারিকরা পৌঁছে যাবেন।”

প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেল ৫ টা নাগাদ ময়নাগুড়ির কাছে আপ বিকানের-গুয়াহাটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় রেলের বগি একটার উপর আরেকটা উঠে যায়। ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৪ টি বগি। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। এলাকায় কান পাথলেই এখনও শোনা যাচ্ছে আত্মীয়দের স্বজন হারানোর বুক ফাটা কান্না, চলছে উদ্ধারকার্য।

ট্রেনের মোট ১২ টি কামড়া কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারই মধ্যে একটি কামড়ায় যাত্রা করছিলেন বছর বেয়াল্লিশের রঞ্জিত বর্মন। তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে দুই দিন আগেই মারা যায়। খবর পেয়ে জয়পুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনার কবলে পড়ে যান তিনিও। মৃত্যু নিশ্চিত, তবে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি মৃতদেহ। শেষবারের মত ভাইকে দেখতে হন্নে হয়ে এলাকায় ছুটোছুটি করে বেড়াচ্ছেন মৃতের দাদা প্রদীপ বর্মন। এমন কত নিরীহ প্রাণ চলে গেছে গতকালের দুর্ঘটনায়, সবের এখনও কিনারা করতে পারেনি উদ্ধারকারীদল। তবে উদ্ধারকার্য চলছে জোরকদমে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *