আজ খবর ডেস্ক- গত বৃহস্পতিবার IRCTC (Indian Railway Catering and Tourism Corporation) এর তরফে একটি নতুন স্কিম লঞ্চ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে যাত্রীদের টিকিট বুক করতে আর রেলস্টেশনে ছুঁটতে হবে না। বরং নিকটস্থ পোস্ট অফিস থেকেই বুক করা যাবে ই-টিকিট।

ফলত টিকিট কাটতে আর এজেন্টদের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। এছাড়া দেখা গিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলির আশেপাশে অনেক সময় রেলস্টেশন না থাকলেও একটি করে পোস্ট অফিস থাকে। তাই মূলত তাদের সুবিধার কথা ভেবেই
এই স্কিম চালু করছে ভারতীয় রেল।

উল্লেখ্য, করোনাকালে ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রী সুবিধার্থে Mobile catering পরিষেবা ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় রেল। তাতে যাত্রা পথে পরিষ্কার এবং সুস্বাদু খাবার পূনরায় উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। এছাড়া সম্প্রতি রেলের তরফ থেকে জানান হয়েছে , খুব শীঘ্রই দেশের ২০০ এর বেশি রেলস্টেশনে মোবাইল রিচার্জ ও বিল পেমেন্টের সুবিধা উপলব্ধ হবে। ফলে মোবাইল রিচার্জ কিংবা বিল পেমেন্ট করতে এখন আর কোন অসুবিধের মধ্যে পড়তে হবে না গ্রাহকদের ।

তবে নতুন বছরে রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের জন্য নানান নতুন নতুন সুবিধার কথা বলা হলেও রয়েছে একটি দুঃসংবাদ। বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে উন্নত স্টেশনগুলিতে অত্যাধুনিক পরিষেবা এবং স্টেশনের মানোন্নয়নের জন্য ঘুরপথে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের দাম অতিরিক্ত ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

সম্প্রতি সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের রেলের প্যাসেঞ্জার্স মার্কেটিং বিভাগের ডিরেক্টর বিপুল সিঙ্ঘল এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন । সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, অসংরক্ষিত আসন থেকে বাতানুকূল আসনের জন্য টিকিট প্রতি দাম ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে, শহরতলির যাত্রীদের ট্রেনগুলি এই ভাড়া বৃদ্ধির আওতার বাইরে। শুধু তাই নয়, ট্রেনের সঙ্গে বাড়বে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও। কিন্তু স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের জন্য রেল বাজেটে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ধার্য করা থাকে। তা সত্বেও স্টেশনের মানোন্নয়নের জন্য যাত্রীদের কেন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *