আজ খবর ডেস্ক- হিসেব বলছে, রাজ্যে সব থেকে বেশি রাজস্ব আসে আবগারি দপ্তর থেকে। করোনাকালে লকডাউন পর্বে মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে।
নতুন বছরে নয়া নির্দেশিকা দিল আবগারি দপ্তর। গত ৩০শে ডিসেম্বর এই নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে মদ কিনলে সংশ্লিষ্ট দোকানের থেকে রসিদ দিতে হবে।
মদ কেনার সময় ক্যাশ মেমো দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতাই তা নেন না। আবার বিক্রেতারাও অনেক সময়ে দিতে চান না। এ বার সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নতুন পথ নিচ্ছে রাজ্য আবগারি বিভাগ। এখন থেকে রাজ্যের সর্বত্র সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত খুচরো মদের দোকানে যাতে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) বসানো হয় তার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।
ঠিক হয়েছে, পিওএস পরিষেবা দিতে পারে এমন সংস্থার একটি প্যানেল তৈরি করে দেবে রাজ্য আবগারি দফতর। সেখান থেকে যে কোনও সংস্থাকে নিজের দোকানের জন্য বেছে নিয়ে নিয়োগ করবেন খুচরো বিক্রেতারা। যে সব সংস্থা মদের ব্যবসায় পিওএস পরিষেবা দিতে চায় তাদের কাছে দরপত্রও চেয়েছে আবগারি দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে শর্ত মেনে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ রাজস্ব এলেও অনেক ক্ষেত্রেই কালোবাজারে মদ বিক্রি হয়। যে পরই মেan রাজস্ব এখন আসছে, নিয়ম মেনে কেনাবেচা হলে তার থেকে অনেকটাই বেশি পরিমাণে রাজস্ব আসতে পারে।
এছাড়াও, আজকাল অনেকেই কার্ডের মাধ্যমে মদ কেনেন। কিন্তু রাজ্যের বহু দোকানেই সেই ব্যবস্থা নেই। ঠিকঠাক পিওএস পরিষেবা দিতে পারে এমন সংস্থার খোঁজ এ বার সরকারি উদ্যোগে করে দেওয়া হবে। এর জন্য আবেদনকারী সংস্থাগুলোকে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ১০০ নম্বরের সেই পরীক্ষায় পাশ করতে নূন্যতম ৫০ পেতে হবে। কী ভাবে অবেদন করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় শর্ত মানা হচ্ছে কি না এবং এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এই তিন বিষয়ে যথাক্রমে ৫০, ৪০ ও ১০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হবে। যোগ্যদের নিয়ে তৈরি হবে প্যানেল।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের সব জায়গায় ক্রেতাদের যেন ক্যশ মেমো দেওয়া হয় এবং তা যেন একই রকম হয়।’
তবে শুধু মদের দোকান নয়, পানশালার ক্ষেত্রেও প্যানেলভুক্ত স্বীকৃত সংস্থা থেকে বেছে নিয়োগ করা যাবে। দরপত্র চাওয়ার সময়ে বলে দেওয়া হয়েছে মদ বিক্রির প্রতিটি ক্যাশ মেমোয় দোকানের নাম, বিক্রির তারিখ, সময়, মদের ব্র্যান্ডের নাম, পরিমাণ এবং মোট দামের উল্লেখ থাকতে হবে। আবার যদি কোনও পানশালার রসিদ হয় তবে সেখানে বাকি তথ্য একই রকম হলেও মদের পরিমাণ মিলিলিটার, পেগ ও গ্লাসের হিসেবে দেখাতে হবে। সেই সঙ্গে পিওএস ব্যবস্থার মধ্যে কমপক্ষে তিন মাসের তথ্য মজুত থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে ওই সময়ের মধ্যে যে কোনও দিনের বিক্রির বিস্তারিত তথ্য দরকার হলে পাওয়া যায়।
তবে, দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে যাবতীয় গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে বলেও জানান হয়েছে সরকারের তরফে।