আজ খবর ডেস্ক- মঙ্গলবার বিধানসভায় পালিত হল জাতীয় ভোটার দিবস(national voters day)। সেখানে গিয়েই এদিন কার্যত রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্য প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী, সরকারি আধিকারিক থেকে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় — সকলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতেই মুকুল রায় সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সকালে বিধানসভায় রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু। এই অনুষ্ঠানেই রাজ্যপাল রাজ্য সরকার ও বিধানসভার স্পিকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের পক্ষ নেন শুভেন্দু।
বলেন,‘‘স্বীকৃত বিরোধী দলকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বিজেপি বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদও দেওয়া হয়। মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। পরিষদীয় রাজনীতির রীতিনীতি মানা হয়নি।’’
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য টেনে ‘পাগল’ মুকুল রায়কে ফের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘পাগল মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়েছে। স্পিকারের উচিত ওই পদটি বিজেপি-কে দিয়ে দেওয়া। কারণ পরিষদীয় রাজনীতির রীতিনীতি অনুযায়ী তা বিরোধী দলের পাওয়া উচিত।’’
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী দলের তরফে বিজেপি পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বালুরঘাটের বিধায়ক, অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীর নাম প্রস্তাব করা হয়।
কিন্তু, শাসক দলের তরফে পিএসি চেয়ারম্যান করা হয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে।

প্রতিবাদে বিধানসভার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেয় বিজেপি। সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ ও হয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়েও স্পিকারের কাছে আবেদন করেছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টে চলছে মামলা। চলতি মাসের ২৮ জানুয়ারি আবার স্পিকারের কাছে শুনানি রয়েছে মুকুলের বিষয়টি নিয়ে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিজেপি-র তরফে স্পিকারের কাছে ফের বালুরঘাটের অর্থনীতিবিদ বিধায়ককে পিএসির চেয়ারম্যান করার দাবি জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে একই রাজনৈতিক দল বলেছেন মুকুল। তাঁর এমন মন্তব্যে সায় দেয়নি তৃণমূল। এমনকি সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে মুকুলকে প্রকাশ্যে আসার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি মুকুলের মন্তব্যে কান দিতে নারাজ।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *