আজ খবর ডেস্ক- একজন নন্দীগ্রামের বর্তমান বিধায়ক। আরেকজন হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদ কিন্তু কার্যত তাঁর ইশারায় চলত নন্দীগ্রাম। প্রথমজন শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয়জন লক্ষ্মণ শেঠ।
এদিন সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান এলাকার বর্তমান বিজেপি বিধায়ক। সেখানেই তৃণমূল নেতৃত্ব এবং লক্ষ্মণ শেঠ কে একযোগে বিঁধলেন তিনি।
বলা হয়, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এবার সেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়েই নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক।
নন্দীগ্রামে এদিনের “শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি” দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামের অত্যাচারের নায়ক ছিলেন লক্ষ্ণণ শেঠ। তিনি এখন তৃণমূলের হয়ে কথা বলেন। অপেক্ষায় রয়েছি কবে লক্ষ্ণণ শেঠকে মালা পরিয়ে ওরা বরণ করে নেয়।”
শুভেন্দু আরও বলেন,”লক্ষ্মণ শেঠ এসে তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটাবেন, এটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
প্রসঙ্গত, ২০১১ পরবর্তী সময়ে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে “ঘনিষ্ঠতা” বাড়ান লক্ষ্মণ। সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরের একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠ কে।
এদিন শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, “তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি, দলের তরফে এখনও কোনও বার্তা পাইনি। আর এ ব্যাপারে শুভেন্দুর এত মাথাব্যথা কেন? তাঁর কটাক্ষ, শুভেন্দু তো এখন বিজেপির বড় নেতা।”
যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, ২০০৭ নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখনও চর্চা চালিয়ে গেলেও এখানকার মানুষের কাছে তা এখন আর প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু নয়। বরং এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয় মানুষের রোজগার নিয়ে তাঁদের চিন্তা বেশি।