আজ খবর ডেস্ক : ইতিহাস সাক্ষী, সমস্ত বড় সাম্রাজ্যের পতনের মূলে ছিল অন্তর্কলহ। বিগত কিছু সময়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে যে হারে নেতা কর্মীদের দলের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে, তাতে আশঙ্কার মুখে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অস্তিত্ব। তবে কি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র ‘মৃত্যু’ কি আসন্ন? এই প্রশ্নই শোনা গেল বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়-এর মুখে।

আজ ভিন্নমতালম্বী বিজেপি নেতাদের নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীদের নতুন কমিটি নিয়ে বৈঠক রয়েছে।তার আগেই আজ টুইট বার্তায় তথাগত রায় লেখেন, “শুশ্রূষা না করে লুকিয়ে রাখলে রোগ সারে না। বরং রোগীর মৃত্যু হয়। রোগের সূত্রপাত অর্থ এবং নারীচক্রের সংসর্গ থেকে। বিধানসভা ভোটের জঘন্য ফলের পরও কোনও শুদ্ধিকরণ হয়নি। বাংলায় কি বিজেপি-র মৃত্যু হতে চলেছে?”

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন শেষে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র মত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় তথাগত রায়কে। দলের এমন একজন অভিজ্ঞ নেতার দল বিরোধী মন্তব্য , অস্বস্তিতে ফেলেছিল পদ্মশিবিরকে। তারমধ্যে নয়া গঠিত কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের অসন্তোষ দেখে, আপাতত রাজ্যে বিজেপির সমস্ত বিভাগ ও সেলগুলি বিলুপ্ত করার কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফলত বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

কিছুদিন আগেই , কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ কয়েক জন মতুয়া বিধায়ক রাজ্য বিজেপির নতুন পদাধিকারী মণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বেরিয়ে যান দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে। এই তালিকা থেকে বঞ্চিত দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকেও একই ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে অতীতে। তারই মধ্যে, তথাগতবাবুর এই মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলল গেরুয়া শিবিরকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *