আজ খবর ডেস্ক- কল্যাণ ব্যানার্জির পর এবার মদন মিত্র। প্রকাশ্যে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেলাগাম মন্তব্যের জেরে দলের তরফে সতর্ক করা হল কামারহাটির বিধায়ককে।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে একের পর এক সিনিয়র নেতারা দল বিরোধী মন্তব্য করছেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, এতদিন গেরুয়া শিবিরে পুরনো বনাম নতুন নেতাদের লড়াই দেখা গেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ও যেন একই ছবি।
গত সপ্তাহে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির মন্তব্য ঘিরে দলের মধ্যেই বিভাজনের সূত্রপাত হয়। এবার সতর্ক করা হল মদন মিত্র কে।

মদন মিত্রকে সতর্ক করল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। গত কয়েকদিন কল্যাণ-কুণাল বাকযুদ্ধে রাশ টানতে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক।
শনিবার ফেসবুক লাইভ করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মদন। তিনি বলে বসেন, ‘‘আগামী দিনে হয়তো অর্জুন সিংহও দলে এসে মুখপাত্র হয়ে যাবেন।’’ তাঁর এমন মন্তব্যে বেজায় চটেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার ফের মদন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।’’

মদন প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি দলের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু কিছু বলার থাকলে তা জানাব কাকে?’ একই সঙ্গে সরাসরি পার্থকে কটাক্ষ করে মদন বলেছিলেন, ‘‘তাই উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে দিয়ে যাবেন, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।’’ তাঁর এমন মন্তব্যের পরেই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
সোমবার জানা যায়, দলের এক শীর্ষ নেতা মারফৎ সতর্ক করা হয়েছে কামারহাটির বর্ষীয়ান বিধায়ককে।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে প্রকাশ্যে সতর্ক করেছিলেন মদন মিত্র কে। পরে, ভবানীপুরে উপ নির্বাচনের আগে আরও একবার দলের মিটিং চলাকালীন মমতা মদন কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন কম রঙিন থাকতে।

এর মধ্যেই গতকাল, মদন মিত্রর পুত্রবধূ স্বাতী রায় ফেসবুকে প্রকাশ্যে পারিবারিক হিংসা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। আকুতি জানিয়েছেন, “আমি বাঁচতে চাই”। ফলে বলাই বাহুল্য, আপাতত কিঞ্চিৎ কোণঠাসা ডাকাবুকো মদন মিত্র।
আর এবার সূত্রের খবর, তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির এক সিনিয়র নেতার মাধ্যমে কড়া বার্তা দেওয়া হল মদন কে। মূলত ভবানীপুরের বাসিন্দা এবং একসময়ের সাংসদ, তৃণমূলের অত্যন্ত সিনিয়র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ আস্থাভাজন এক নেতা, সোমবার সকালে সংযত থাকার নির্দেশ দিলেন মদন মিত্রকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *