আজ খবর ডেস্ক : কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের অভিষেক বিরোধী মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তি বজায় থাকল তৃণমূলের অন্দরে। আজ ভবানীপুর ইউনাইটেড ইয়ুথ ফোরামের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে দেওয়া হল কল্যাণ বিরোধী স্লোগান। পোড়ানো হল তাঁর কুশপুতুল।মূলত, কিছুদিন আগেই ডায়মন্ড হারবারে কোভিড রিভিউ মিটিং সেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন আসন্ন ৪ টি পুরসভার ভোট আপাতত মাস দুয়েকের জন্য পিছিয়ে দেওয়া উচিত। অভিষেকের এই মন্তব্যকে ঘিরে শ্রীরামপুরের বিধায়ক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা যায় কটাক্ষের সুর।

এরপর অভিষেক-পন্থী তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক, কুনাল ঘোষকে বাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় কল্যাণের সঙ্গে।যদিও শেষ পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় বিতর্কের “চ্যাপ্টার ক্লোজ” করা হয় ।তবে থেমেও থামে না সেই বিতর্ক। এদিকে কুণাল ছাড়াও তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকপন্থীরা এখনও বিঁধে চলেছেন কল্যাণকে। সম্প্রতি আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে কল্যাণের অপসারণ দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়।’

পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার এক সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েই কল্যাণকে আক্রমণ করে মদন মিত্র বলেন – ” তৃণমূলের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে থেকেই কেউ তার জিন টেস্টিংয়ের চেষ্টা করলে মদন মিত্র তা বরদাস্ত করবে না।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করার পর থেকেই, শুধু রাজ্য নয় জাতীয় রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলত, রাজ্য তৃণমূলের একাংশ অভিষেককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি বলে মনে করতে শুরু করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *