আজ খবর ডেস্ক- অনিশ্চিত হয়ে রইল মুকুল রায়ের বিধায়কপদ। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে আগেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । কিন্তু তার কোন সুরাহা এখনও পর্যন্ত হয়নি। এরই মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। এরপরই তার বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিই ফের দু-সপ্তাহ পিছিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
আদালতের শুনানি পর্যবেক্ষণ করে, আশা করা হচ্ছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও ইতিমধ্যেই তৃণমূলে নয়, তিনি বিজেপিতেই আছেন বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, তিনি আদৌ কোনওদিন তৃণমূলে যোগ দেননি বলেও জানান তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনজীবী মারফত ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে এমনটা জানিয়েছেন মুকুল। তাঁর এই দাবিকে কেন্দ্র করে এই মুহুর্তে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের পরেই সপুত্র দল ছাড়েন মুকুল রায়। একেবারে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে ঘরওয়াপাসি করেছিলেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর বিজেপির বিধায়ক পদ কেন খারিজ হবে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দলবিরোধী আইন অনুযায়ী, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুকুলকে পিএসসি চেয়ারম্যান হিসাবেও নিয়োগ করা হলে, বিতর্ক আরও জোরাল হয়। মুকুল রায়কে কীসের ভিত্তিতে পিএসসি চেয়ারম্যান করা হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। বরং এরমধ্যে মুকুল তাঁর কাছে পাল্টা চিঠিতে জানিয়ে দেন, তিনি কখনও তৃণমূলে যোগই দেননি। ফলত এমন পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে আদালতের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। আপাতত সেই শুনানিই আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেল।