আজ খবর ডেস্ক- আগামী ২২ জানুয়ারি চন্দননগর সহ চারটি পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। তারমধ্যেই সাপ্তাহিক সংক্রমনের নিরিখে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এই রাজ্য। অতিমারীর এই দাপটের মধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচারের ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তারমধ্যেই অভিনব উপায় প্রচার সারছেন চন্দননগরের ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী।

করোনা আবহে ভোটের প্রচার করতে অভিনব পন্থা নিলেন তিনি। একটি ছোট অফিস বানিয়ে রীতিমত টেলিকলার বসিয়ে নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী মোহিত।

তাঁর কথায়, চার থেকে পাঁচ জন সদস্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মানুষের মনে ওমিক্রন নিয়ে যেভাবে ভয় বাড়ছে, তাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারেন বা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই এই রকম পরিস্থিতিতে তাই টেলিকলার বসিয়ে প্রচারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই সমস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ডাটাবেস তৈরি করা ছিল। ভোটারলিস্ট অনুযায়ী সেই ডাটাবেস ধরেই ওয়ার্ডের হাজার পাঁচেক ভোটারকে এক এক করে ফোন করে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া। কোনও রেকর্ডিং না চালিয়ে সরাসরি ভোটারদের ফোন করায় ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন মোহিত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চার পুরসভার ভোট নির্ধারিত সময় হবে কিনা, সেই নিয়ে এখনও মামলার চলছে হাইকোর্টে । এদিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। কিছুদিন আগেই করোনা আবহে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা রুজু করা হয় উচ্চ আদালতে। পাশপাশি কমিশনের নির্দেশে পুরভোটের প্রচারে আউটডোর সভায়) ২৫০ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ থাকা যাবে না। জনসভায় উপস্থিতির সংখ্যাও ৫০০ থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করেছে কমিশন। এই নির্দেশ না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *