আজ খবর ডেস্ক- চিকিৎসায় হিন্দুত্ববাদ! নাকি সরাসরি গেরুয়াকরণ? এবার হবু চিকিৎসকদের হিপোক্রেটিকের পরিবর্তে চরক শপথ পাঠ করান হল।
এর আগে গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামাঙ্কিত শপথ গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসকের ধর্ম পালনের শপথ নিয়ে থাকেন ডাক্তারবাবুরা।
দীর্ঘ দিন ধরে এমনই রীতির চল ছিল । কিন্তু আচমকাই সেই নিয়মের পরিবর্তন ঘটল। আর এরই জেরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা ঘটনাটিকে ঘিরে । শুরু হয় বিতর্ক ।

সোমবার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে চরক শপথ পাঠ করানো হল । আগেই অবশ্য এই পাঠের প্রস্তাব এসেছিল । যদিও এ ব্যাপারে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনও নির্দেশনা পাঠানো হয়নি। তবে যিনি এই শপথ বাক্য পাঠ করান অর্থাৎ অধ্যক্ষ ডঃ রঘুনাথ মিশ্র বলেন যে , “এনএমসির পরামর্শ মেনে চরকের নামে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।”
কিন্তু এই ঘটনায় স্বভাবতই রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য, চিকিৎসক ডাঃ শান্তনু সেন জানান, হিপোক্রিটের পরিবর্তে চরক শপথের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। এই কাজটি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কেন আগ বাড়িয়ে করলো তা তিনি বোঝেন নি ।
এদিকে আবার বিজেপি নেতা তথা চিকিৎসক ডাঃ ইন্দ্রনীল খানের কথায় ,”আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র শুধুমাত্র পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করে নেই । প্রাচ্যের চিকিৎসা বিদ্যাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। মেডিক্যাল কলেজে চরকের নামে শপথ নেওয়ায় সেই সত্যিটাকেই মান্যতা দেওয়া হল। ব্রিটিশরা আমাদের উপর যে হিপোক্রেটিক চাপিয়ে দিয়েছিল একজন স্বদেশী চিকিৎসকের নামে শপথ নিয়ে সেই শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেয়েছি”।

অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে এই ধরণের বিতর্ক। কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, কাদা মাখলে করোনা হয় না। কখনও আবার কেন্দ্রীয় উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আইআইটি’র সমাবর্তনে গিয়ে “রাম সেতু” নিয়ে গবেষণার পরামর্শ দিয়েছিলেন ছাত্রদের।
ফলে, ভবিষ্যত চিকিৎসকদের পেশায় প্রবেশের আগেই নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে। যখন করোনার কারণে দেশ জুড়ে এমনিতেই চিকিৎসকের অভাব অনুভূত হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *