আজ খবর ডেস্ক- জল্পনা চলছিল এবার গাঁটছড়া নাকি আলগা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আর প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাকের। গত কয়েকমাসে ঘটনা প্রবাহ পরপর সাজালে তেমনটাই মনে হচ্ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে অতি সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে অনেকই মনে করছেন এবার বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরুর জানান দিল আইপ্যাক। কারণ এতদিন পর্যন্ত ৭৭ টি ভেরিফায়েড ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করতো আইপ্যক। সেই সংখ্যা কমে এই মুহূর্তে ৭৬। একজনকেই আনফলো করা হয়েছে। আর তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

ট্যুইটারে এই আনফলো করার বিষয়টিতে জল্পনা বেড়েছে বিস্তর। তৃণমূলের নেতাদের একাংশের দাবি, আইপ্যাকের সঙ্গে দলের সম্পর্কচ্ছেদ এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেই দাবিকেই ‘বৈধতা’ দিচ্ছে আইপ্যাকের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে মমতাকে ‘আনফলো’ করা। বস্তুত, দলের নেতাদের একাংশের দাবি, এটিই বিচ্ছেদ-প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম ধাপ। এবং তা আইপ্যাকের তরফেই শুরু করা হল। মমতা বা তৃণমূলের অন্যরা এখনও প্রকাশ্যে এমনকিছু করেননি।

গত কয়েকমাস ধরেই আইপ্যাক নিয়ে তৃণমূলের ভেতর প্রবল সমস্যা। সমস্যা একপ্রকার দাঁড়িয়েছে নবীন বনাম প্রবীনে। দলের বর্ষীয়ান নেতাদের অনেকে বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই বলছিলেন, দলের খবর তাঁদের থেকে বেশি জানতে পারেনা বাইরে থেকে আসা একটি টিম । আইপ্যাকের হাত ধরে ব্যাপক সাফল্য এসেছে তৃণমূলের। কিন্তু পিকের সংস্থার সঙ্গে নেতাদের ভেতরের বিবাদ কমেনি। এই বিবাদ আরও বেড়েছে কলকাতা পুরভোটের সময়।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাকের আনুষ্ঠানিক চুক্তি রয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। দু’পক্ষের সম্পর্কচ্ছেদ হলে সেই চুক্তির কী হবে, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার প্রশান্তের এক ঘনিষ্ঠ বলেন, ‘‘পিকে যখন কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক কারও সঙ্গে ছিন্ন করেন, তখন তা নিঃশব্দে করেন। সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বা ঢাকঢোল পিটিয়ে নয়। তবে প্রশান্তের সঙ্গে তৃণমূলের একটি চুক্তি রয়েছে বলেই আমরা জানি। সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে কী কী করতে হবে, তা-ও দু’পক্ষই জানে।’’

এইসব জল্পনার মাঝে আবার এক পক্ষের দাবি, সম্পর্ক খারাপ হলেও এখনও পর্যন্ত নীতিশ কুমারকে ফলো করে আইপ্যাক। সেদিক থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে একেবারে আনফলো? তবে কি বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষায় ?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *