আজ খবর ডেস্ক- ১৭৪ ধারার প্রয়োগ করে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আগামী সপ্তাহ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
একের পর এক রাজনৈতিক ঘটনায় আপাতত তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। হঠাৎ কেন রাজ্যপালের এহেন “টুইট বোমা”? এই নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা চলছে।

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে প্রথাগতভাবে বিধান সভার অধিবেশন শুরুর আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে থাকেন রাজ্যপাল। সংসদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ভাবে কাজ করেন দেশের রাষ্ট্রপতি। শনিবার দুপুরে বিধানসভার পূর্ববর্তী অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে রাজ্য বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা। করোনার কারণে বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ ছিল। নিয়মমতো পূর্ববর্তী অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা না হলে আগামী অধিবেশন শুরু করা যায় না।

রাজ্যপালের টুইট ঘিরে কার্যত শোরগোল শুরু হয় সব মহলে। অনেকেই ভেবে বসেন, চলতি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার মত কঠোর কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল এবং সেটাই পত্র মারফত জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ কে।
নিজের টুইটে অধ্যক্ষকে লেখা চিঠির কপি ও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
পরে অবশ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, রাজ্যপালের চিঠি নেহাতই রুটিন বিজ্ঞপ্তি। আগের অধিবেশন শেষ না হলে পরের অধিবেশন শুরু করা যায় না, তাই প্রটোকল অনুযায়ী রাজভবন থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়।

যদিও অব্যবহিত পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, সামান্য একটি রুটিন বিষয় কেন করতে গেলেন রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন বিমান। এর ফলে রাজ্যজুড়ে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্পিকার।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের “টুইট সক্রিয়তা” নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছে রাজভবনের। শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কথায় কথায় তুচ্ছাতিতুচ্ছ প্রত্যেকটি বিষয় টুইট করে প্রচারের আলোয় থাকতে চান রাজ্যপাল।
দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, টুইটারে রাজ্যপাল কে “ব্লক” করেছেন তিনি।

তবে, বাজেট অধিবেশনের আগে আরও একটি সাংবিধানিক প্রটোকল রয়েছে। তা নিয়েও যথেষ্ট কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল। আর তা হল, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা এই রাজ্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বাজেট পেশ করার আগে রাজ্যপালের ভাষণ। রাজ্য সরকার বনাম রাজভবনের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তৈরি করে দেওয়া বয়ান “ভাষণ” কি পাঠ করবেন জগদীপ ধনখড়? সে দিকেই নজর সকলের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *