আজ খবর ডেস্ক- অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থা সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের। মুম্বাইয়ের “ব্রিচ ক্যান্ডি”(Breach candy) হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। খানিকক্ষণ আগে লতামঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান সংগীত শিল্পী আশা ভোঁসলে।
শনিবার রাতে একে একে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের সামনে ভিআইপিদের আনাগোনা।
চিকিৎসকরা সর্বশেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছেছেন মহারাষ্ট্র সরকারের সচিব পর্যায়ের দুই শীর্ষ আধিকারিক
লতা মঙ্গেশকরের দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা চলছে দেশ জুড়ে।

লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই শনিবার রাতে দিদিকে দেখতে  মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে পৌঁছন বোন আশা ভোঁসলে। আশা ছাড়াও, চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, এনসিপি(NCP) কর্তা শারদ পাওয়ার( sharad pawar) কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এবং রশ্মি ঠাকরে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান।
এর আগে, এমএনএস(MNS) প্রধান রাজ ঠাকরেও হাসপাতালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, লতা আক্রমণাত্মক থেরাপিতে( aggresive therapy) রয়েছেন।
ক্রমাগত চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন। তিনি আইসিইউতে কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

এদিন দিদি লতাকে হাসপাতালে দেখে বাইরে এসে সাংবাদিকদের আশা ভোঁসলে জানান যে, সুরসম্রাজ্ঞী এখন স্থিতিশীল রয়েছেন, এমনটাই তাঁকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়েছে। আপাতত আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রয়েছে লতা মঙ্গেশকর।  ২৭ দিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতা।
চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

করোনার সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গায়িকা। চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল তাঁর। বের করা হয়েছিল ভেন্টিলেশন থেকেও। তবে ফের তাঁর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আইসিইউ-তে। লতা মঙ্গেশকরের বয়স ৯২ বছর। এত বয়সের কারণে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও সেরে উঠতে সময় লাগছে গায়িকার, জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে। 

 ভারতীয় সঙ্গীতের অন্যতম স্তম্ভ লতা মঙ্গেশকর। হিন্দি চলচ্চিত্র সঙ্গীতের একটা যুগ নজের কণ্ঠ দিয়েশাসন করেছেন লতা। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন। তিনি ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। লতা মঙ্গেশকরের শেষ সম্পূর্ণ অ্যালবামটি ছিল ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “বীর-জারা” ( veer jara)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *