আজ খবর ডেস্ক: রবিবার সকালটাই যেন বেসুর! গোটা দেশের মন খারাপ।
প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর।
এদিন সকাল ৮ টা বেজে ১২ মিনিটে চলে গেলেন তিনি।
শুধু মহারাষ্ট্রের “লতা তাই” নয়, ভারতের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময়।
তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী ১৫ দিন রাজ্যের সর্বত্র বাজবে লতার গাওয়া গান, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার রাত থেকেই লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রাত পৌনে নটা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন আশা ভোঁসলে। চিকিৎসকরা রাতভর প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু ৯২ বছরের ফুসফুস আর লড়াই করতে পারেনি। রবিবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর।
তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ অসংখ্য মানুষ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে জারি করা মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তায় লেখা হয়,
নবান্ন
৩২৫, শরৎ চ্যাটার্জি রোড
হাওড়া ৭১১১০২

স্মারক সংখ্যা: ৩৯/আইসিএ/এনবি
তারিখ: ৬/২/২০২২

মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা

কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর প্রয়াণে আমরা রিক্ত হলাম।

সুরসম্রাজ্ঞী ও অনন্য প্রতিভাময়ী সর্বজনশ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকর দীর্ঘ আট দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা সহ ছত্রিশটিরও বেশি ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় তাঁর গাওয়া অগণিত ক্লাসিকাল,গজল, ভজন, আধুনিক ও সিনেমার গান আজও সমান জনপ্রিয়। বাংলার সঙ্গীতজগতের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। আমাদের নক্ষত্রদের সাধনা ও তাঁর প্রতিভা পরস্পরকে সমৃদ্ধ ও অভিষিক্ত করেছিল।

ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, লিজিয়ন অফ অনার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড সহ অজস্র পুরস্কার ও সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন।

তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।

আমি লতা মঙ্গেশকরের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।

*মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সুরসম্রাজ্ঞী ও অনন্য প্রতিভাময়ী সর্বজনশ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকর দীর্ঘ আট দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা সহ ছত্রিশটিরও বেশি ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় তাঁর গাওয়া অগণিত ক্লাসিকাল,গজল, ভজন, আধুনিক ও সিনেমার গান আজও সমান জনপ্রিয়।
বাংলা সঙ্গীতজগতের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। সেই সংযোগের শুরু সলিল চৌধুরী কে দিয়ে। পরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, কিশোর কুমার। অবাঙালি হলেও তাঁর নির্ভুল বাংলা উচ্চারণ, বিশেষত রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে যে পারঙ্গম তিনি দেখিয়েছেন, তাতে আজও মজে আপামর বাঙালি।

ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, লিজিয়ন অফ অনার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড সহ অজস্র পুরস্কার ও সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন।

লতার প্রয়াণে দেশে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার আগে লতার প্রভুকুঞ্জের বাড়িতে শায়িত থাকবে দেহ। সেখানে মানুষ শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *